বেপরোয়া গতি রুখতে পরীক্ষা

প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় সড়কে কোনও গাড়ির ‘স্পিড লিমিট’ থাকে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার। দুর্বল সেতুর ক্ষেত্রে তা ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩১
Share:

তৎপর: রাজপথে গতি মাপতে ‘লেজার বেসড স্পিড রিডার গান’-এ চোখ পুলিশের। শনিবার সিউড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের লক্ষ্য বেপরোয়া যানচলাচলে লাগাম পড়ানো। সেই প্রকল্পের সফল রূপায়ণে এ বার ‘লেজার বেসড স্পিড রিডার গান’ যানবাহনের গতিপরীক্ষা করছে জেলা পুলিশ। চন্দ্রভাগা সেতু, তিলপাড়া সেতু, সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাই সহ জাতীয় সড়কের কিছু জায়গায় ওই পরিকাঠামো ব্যবহার করা হচ্ছে। যন্ত্রের সাহায্যে নিয়মিত চলছে গাড়ির গতি পরীক্ষা। জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, জেলার বিভিন্ন জাতীয় ও রাজ্য সড়ক, মূলত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় নিয়মিত গতি পরীক্ষার কাজ চলছে। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুত্রে খবর, ওই যন্ত্রের লেন্সে চোখ রাখলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরেও থাকা কোনও গাড়ির গতিবেগ জানা যায়। কোনও গাড়ি পুলিশের বেঁধে দেওয়া গতির থেকে বেশি জোরে গেলে ওই গাড়ির বিবরণ সেই রাস্তায় কিছু দূরে থাকা ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়। তাঁরা ওই গাড়ি আটকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

Advertisement

প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় সড়কে কোনও গাড়ির ‘স্পিড লিমিট’ থাকে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার। দুর্বল সেতুর ক্ষেত্রে তা ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলা পুলিশের কাছে এমন সাতটি যন্ত্র আছে। জাতীয় ও রাজ্য সড়কের যেখানে স্পিড লিমিট লেখা বিজ্ঞপ্তি রয়েছে, সেখানেই সাধারণ ভাবে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে গতি পরীক্ষা করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement