Panchayat Election

প্রার্থী বাছতে ভোটই দিলেন না নেতা-কর্মী

সেই মতো জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, ব্লক কমিটির সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্যদের ভোট দেওয়ার কথা।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ০৯:৫৩
Share:

সমাগম: সিউড়ির কড়িধ্যায় রোড শোয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

সিউড়ির পুরন্দরপুরে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থী ঠিক করার জন্য ভোটদানে যোগ দিলেন না রামপুরহাট ১ ব্লকের আয়াষ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি এলাকায় না-দাঁড়ানোয় ক্ষোভে তাঁরা ভোট দেননি। তবে, তৃণমূলের একাংশ এই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছেন।

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুরন্দরপুরে দুপুর তিনটের মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যায়। সেই মতো জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, ব্লক কমিটির সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্যদের ভোট দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও দলের জেলা চেয়ারম্যান, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি, ব্লকের যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি, জেলা কমিটি এবং ব্লক কমিটির সদস্যরা ভোটদানে যোগ দিয়েছেন।

একমাত্র আয়াষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতিরা ওই ভোটদানে এ দিন বিরত থেকেছেন। তৃণমূলের আয়াষ অঞ্চল কমিটির সভাপতি আকবর আলমের দাবি, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানার জন্য আয়াষ পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীরা কাবিলপুর মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির গাড়ি কাবিলপুরে দাঁড়ায়নি। আকবর বলেন, ‘‘এই কারণে কর্মীরা নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ক্ষুব্ধ কর্মীরা তাই পুরন্দরপুরে ভোটদান কর্মসূচিতে যোগ দেননি।’’ জেলায় দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের সফরকালীন এমন ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, ‘‘কেন আয়াষ গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটদান কর্মসূচিতে যোগ দেয়নি, সে ব্যাপারে খোঁজ নেব।’’

Advertisement

যদিও দলের অন্দরে খবর, আয়াষ পঞ্চায়েতে এলাকায় আকবর আলমের ক্ষমতা ও প্রভাব অত্যন্ত বেশি। দলীয় কোনও সভা বা দলের কোনও কর্মসূচিকে তেমন গুরুত্ব না-দিয়ে নিজের মতো করে চলেন বলে দলেই অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আকবর নিজে তো বটেই, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাই এবং ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকেও প্রার্থী করে পঞ্চায়েত সদস্য করেছেন। দলের কর্মীদেরই একাংশের অভিযোগ, এ বারেও নিজের পরিবার থেকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি। কিন্তু, নেতৃত্ব তা মানেননি। সেই কারণে পুরন্দরপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করার ভোটদানে আকবরের অনুগামী হিসাবে পরিচিত আয়াষ পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, বুথ সভাপতিরা কেউই যাননি। আকবর অবশ্য বলছেন, ‘‘যারা আমার সম্পর্কে বলছে, তারা সরাসরি আমার কাছে এসে বলুক!’’ তাঁর দাবি, ‘‘দলের উপর মহলের নির্দেশে আমি অঞ্চল সভাপতি। তাই প্রার্থী হতে পারব না। আর এলাকাবাসী চেয়েছিলেন বলেই আমার পরিবারের সদস্যরা প্রার্থী হয়েছিল। এলাকাবাসীর চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে এ বারও প্রার্থী ঠিক হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement