bankura

পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য বিষ্ণুপুরে

পোস্টারে লেখা ‘চলো পাল্টাই’ শব্দযুগল পুরসভার শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসীর একাংশ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রবিলোচন দের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যারা পোস্টার দিয়েছে, তাদের হিম্মত থাকলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আবার পোস্টার ফেলুক।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৭
Share:

বড়ামতলায়। নিজস্ব চিত্র

পোস্টারে লেখা, ‘এ বার চলো পাল্টাই’। কিন্তু নেই কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম। বেনামী এই পোস্টার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার ১০ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চর্চার প্রধান বিষয়।

Advertisement

শুক্রবার ভোর হতেই এলাকাবাসীর চোখে পড়ে, কে বা কারা দুই ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ছাপানো পোস্টার সাঁটিয়ে গিয়েছে। মিষ্টি ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ মোদক বলেন, “রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি, এলাকা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। তবে কারা দিয়েছে ,জানি না।” বেনামী পোস্টার দেখে অবাক হারাধন গরাই এবং ভোম্বল পরামানিকের মতো এলাকার অনেকেই।

পোস্টারে লেখা ‘চলো পাল্টাই’ শব্দযুগল পুরসভার শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসীর একাংশ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার রবিলোচন দের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যারা পোস্টার দিয়েছে, তাদের হিম্মত থাকলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আবার পোস্টার ফেলুক।’’

Advertisement

১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম গোস্বামীর দাবি, ‘‘ওয়ার্ডে দিন-রাত পড়ে আছি। মানুষ আমাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমি দল করি।” বিষ্ণুপুরের তৃণমূল পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘সমাজে ভাল কাজে যুক্ত নয়, এ রকম কিছু দুষ্টু লোক এ সব করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জন সমর্থন নিয়ে আমাদের কোনও শঙ্কা নেই।’’ তবে তাঁর সংযোজন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি, কারা এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা সতর্ক রয়েছি। দলের কেউ করে থাকলে বলব, তারা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়ুল মারছে।’’

বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকারের কটাক্ষ, “বিষ্ণুপুর পুরবোর্ডের উপরে নাগরিকেরা বীতশ্রদ্ধ। তাই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকেরা এই উদ্যোগের (‌পোস্টার দেওয়া) নেপথ্যে রয়েছেন বলে আমার ধারণা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement