—ফাইল চিত্র।
‘লকডাউন’-এ বাজারে ভিড় কমাতে আজ, শনিবার থেকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শহরের পাড়ায়-পাড়ায় আনাজের গাড়ি পাঠানোয় উদ্যোগী হচ্ছে জেলা প্রশাসন।
পরীক্ষামূলক ভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কেবল বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শহরে গাড়িতে আনাজ বিক্রি শুরু হচ্ছে। ধাপে ধাপে এই পরিষেবা জেলার অন্যত্র শুরু করার বিষয়েও আমাদের ভাবনাচিন্তা রয়েছে।”
ঘটনা হল, ‘লকডাউন’-এও বাজার-হাটে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে হামেশা। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাজারের ভিড় কমাতে বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি বোঝাই করে আনাজ নিয়ে গিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা ‘সুফল বাংলা’-র স্টলগুলিকে।
বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে ‘সুফল বাংলা’ স্টল রয়েছে। ওই স্টল থেকেই গাড়িতে করে এলাকায় ঘুরে ঘুরে আনাজ বিক্রি করা হবে। সুফল বাংলা স্টল পরিচালনকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আনাজ ও ডিম সরকারি মূল্যে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে ওই গাড়ি। মাইকে ঘোষণা করে লোকজনকে ডাকা হবে।
বাঁকুড়া শহরে জুনবেদিয়া এলাকা থেকে গাড়িতে আনাজ বিক্রি শুরু হবে। জুনবেদিয়া থেকে প্রতাপবাগান, কলেজ মোড়, ভৈরবস্থান, কাটজুড়িডাঙা মোড়, নতুনচটি হয়ে ‘সুফল বাংলা’র স্টলে ফিরে
আসবে গাড়ি।
অন্য দিকে, বিষ্ণুপুরে রবীন্দ্রস্ট্যাচু মোড় থেকে গাড়ি যাত্রা শুরু করে হাইস্কুলমোড়, ছিন্নমস্তা, কলেজমোড় হয়ে কাটানধার যাবে বলে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে।
বাঁকুড়ার ‘সুফল বাংলা’ স্টলের ইনচার্জ তাপসকুমার দাস ও বিষ্ণুপুরের ‘সুফল বাংলা’-র ইনচার্জ সৌরভ সিংহ ঠাকুর বলেন, “আনাজের জোগান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে একটি গাড়ি নিয়ে গোটা শহর ঘুরতে সমস্যা হবে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।”
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “গাড়িতে আনাজ কেনায় মানুষ কেমন সাড়া দেন, তা দেখে আগামী দিনে গাড়ি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বাঁকুড়ার বাসিন্দা অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব সরকারেরা অবশ্য বলেন, “বাজারে খুব ভিড় হচ্ছে। তার থেকে যদি পাড়ায় আনাজের গাড়ি আসে, তাহলে খুবই ভাল হয়। আমরা চাই, কেবল মূল রাস্তাতেই নয়, বাড়ির সামনেও যদি গাড়ি পাঠানো হয়, তা হলে উপকৃত হব।”