প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তার মধ্যেই রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২, ৬, ও ৮ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে ধরে প্রস্তুতি শুরু শুরু করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। কোভিড রুখতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে কী ভাবে পরীক্ষার্থীরা বাকি পরীক্ষাগুলি নির্বিঘ্নে দেবে, তা নিয়ে সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল সিউড়িতে।
এ দিন ডিআরডিসি হলে আয়োজিত ওই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শুভাশিস বেজ, স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) লক্ষ্মীধর দাস, জেলা পরিবহণ আধিকারক মৃন্ময় মজুমদার, জেলার সব বিডিও এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মূলত যে-সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হল, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে স্যানিটাইজ় করা, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা। সঙ্গে ছিল পরীক্ষার্থীদের সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো এবং বাড়ি ফেরার প্রসঙ্গও।
যে-সব স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুল সরকারি নিভৃতবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বা হচ্ছে। জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা ধরে তাঁদের এলাকার স্কুলগুলি পুরো টিম নিয়ে পরিদর্শন কররা নির্দেশ বিডিওদের দিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমেই যে কাজটা আমাদের করতে হবে, সেটা হল, কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে চলতে থাকা স্কুলগুলিকে শুক্রবারের মধ্যে খালি করানো। আবাসিকদের নিভৃতবাস পর্ব শেষ হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে। না হয়ে থাকলে তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে প্রতিটি কেন্দ্রকে ভাল ভাবে স্যানিটাইজ় করা হবে। এ কাজের তদারকি করবেন বিডিওরা।’’
এমনিতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক পরেই আসার কথা। প্রশাসনের তরফেও ১০ হাজার মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই মাস্ক পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য স্কুলের তরফে ‘মাইক্রো লেভেল প্ল্যানিং’ করতে বলা হয়েছে। গণ পরিবহণ স্বাভাবিক নয় এখনও। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছে দেওয়াও প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ। সরকারি ও বেসরকারি বাস এমনকি ছোট গাড়ি, যেগুলো নেওয়া হবে, সেগুলিকে ভাল করে স্যানিটাইজ় করার কথা বলা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ১৭৮। পরীক্ষাকেন্দ্র ৮৫টি। কোনও কেন্দ্র বাড়ছে না। তবে দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষার্থীদের বসাতে গেলে যদি অতিরিক্ত ঘরের প্রয়োজন হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে। স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) লক্ষ্মীধরবাবু বলেন, ‘‘পুরো ব্যবস্থাপনায় যাতে ত্রুটি না থাকে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেটা আগে থেকে দেখবেন। তাই স্কুলের অফিস খোলা থাকবে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। পরীক্ষার দিনগুলিতে সমস্ত শিক্ষিক-শিক্ষিকাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’’