ছবি: পিটিআই।
রেশন কার্ড বা ফুড কুপন— কিছুই নেই, এমন মানুষজনের তালিকা প্রশাসনকে দিল এসইউসি। পরিবারগুলি যাতে খাদ্যপণ্য পান, অবিলম্বে সেই ব্যবস্থা করার দাবি তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লক প্রশাসনের কাছে ১২৬ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয় বলে জানান এসইউসির রঘুনাথপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক বন্দনা ভট্টাচার্য। তালিকার ৯২ জন নতুনডি পঞ্চায়েতের নতুনডি গ্রামের বাসিন্দা। খাজুরা পঞ্চায়েতের সরকা গ্রাম থেকে রয়েছে ২২ জনের নাম। বাকিরা শাঁকা পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামের।
বন্দনাদেবীর দাবি, ওই পরিবারগুলির আবেদন করলেও রেশন কার্ড হাতে পায়নি। পায়নি ফুড কুপনও। এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়ছেন বিবাহসূত্রে ওই গ্রামগুলিতে আসা মহিলারা। প্রায় সবাই দিনমজুর পরিবারের। ‘লকডাউন’-এ রোজগার বন্ধ। রেশন না পাওয়ায় খুবই মুশকিল হচ্ছে তাঁদের।
অন্য দিকে, দলের নিতুড়িয়ার সম্পাদক নবনী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের রেশন কার্ড না থাকায় তাঁরা রেশন দোকান থেকে খাদ্যপণ্য পাচ্ছেন না।’’ ‘জেনারেল রিলিফ’ (জিআর) থেকে তাঁদের পনেরো কেজি করে চাল ও আটা দেওয়ার দাবি ব্লক প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি রঘুনাথপুর শহর ও রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের ১২৯ জনের নাম প্রশাসনকে দিয়েছিল এসইউসি। তাঁরাও কার্ড বা কুপন না থাকায় খাদ্যপণ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। বন্দনাদেবী বলেন, ‘‘সে বার প্রশাসন ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিল।’’
বিডিও (রঘুনাথপুর ১) অনির্বাণ মণ্ডলের দাবি, কোনও দল বা সংগঠন এ ধরনের তথ্য প্রশাসনের নজরে আনলে তখনই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে জিআর-এর চাল, আটা পর্যাপ্ত আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরাও খোঁজ করছি। খাবার নিয়ে কারও সমস্যা থাকলে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’’
যে সমস্ত পরিবার রেশন পাচ্ছে না, তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস এ দিন দিয়েছে নিতুড়িয়া
ব্লক প্রশাসনও।