প্রতীকী ছবি
করোনা মোকাবিলায় চলা লক-ডাউনে পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার শ্রমিকরা কাজহারা হয়ে পড়েছেন। রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে কয়েক হাজার আদিবাসী পরিবার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল। কর্মহীন ওই সমস্ত পরিবারগুলির মধ্যে মাসড়া অঞ্চলের ৩৬টি আদিবাসী গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার দুস্থদের মধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগে চাল, আলু বিলি করল শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা এবং মাসড়া পঞ্চায়েত।
রবিবার এলাকার পঞ্চায়েত অফিসে মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ কিসকু পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল করিম সহ ১০টি সংসদের পঞ্চায়েত সদস্যরা উপস্থিত হন। সেখানে শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজ শেখ, বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন, এলাকার সমাজসেবী বিপুল ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী মৈনুদ্দিন হোসেন উপস্থিত থেকে পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে চাল আলু তুলে দেন।
রবীন সোরেন জানান, পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমে এলাকার দুস্থ মানুষদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই মতো চাল বিলি করা হবে। বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে মাসড়া অঞ্চলের ১০টি সংসদের জন্য ৩০ ক্যুইন্টাল চাল বিলি করা হয়। শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজ শেখ জানান, লক-ডাউন পরিস্থিতিতে এলাকার আদিবাসী দুস্থ মানুষরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় ওই সমস্ত মানুষদের মধ্যে ৩০ ক্যুইন্টাল চাল এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মাসড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ কিসকু জানান, পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে আলু কিনে পরিবার পিছু ৩ কেজি করে আলু বিলি করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের ১০টি সংসদে এই চাল, আলু বিলি করা হয়েছে।
এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মী মৈনুদ্দিন হোসেন জানান, চাল আলু বিলি করা ছাড়াও আদিবাসী এলাকায় করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আদিবাসী নেতা রবীন সোরেনের করোনা নিয়ে লেখা সাঁওতালি ভাষায় গান ও কবিতা প্রচার করা হয়। অন্য, দিকে রামপুরহাট থানার কাষ্টগড়া স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০০টি দুস্থ পরিবারের হাতে চাল, আলু সহ হাত ধোওয়ার সাবান তুলে দেওয়া হয়। রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি সরকারি হোমের আবাসিকদের জন্য রবিবার সকালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরা চাল, আলু, ডাল, আটা, রান্না করার তেল বিলি করেন।