প্রতীকী ছবি।
করোনা-মানচিত্রে ‘গ্রিন জ়োন’-এ থাকা জেলাগুলিতে বাস পরিষেবা চালু নিয়ে আজ, সোমবার নির্দেশ জারি করার কথা নবান্নের। পুরুলিয়া রয়েছে গ্রিন-জ়োনে। কিন্তু জেলায় বাস পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। রবিবার রাতে জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সরকারি নির্দেশ কিছু আসেনি।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেলা স্তরের আধিকারিকদের একটি বৈঠক হয়েছে। জেলা বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্তর বক্তব্য, ‘‘৫০ শতাংশ বাস চালানোর জন্য আমাদের প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ ভাবে বাস চালানো হলে আমাদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। টানা ৪০ দিন ধরে সমস্ত বাস বসে রয়েছে। তার পরে এই ক্ষতি আমরা কী ভাবে সামাল দেব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ কোনও রুট-এ বাস নামালে ন্যূনতম ছয় হাজার টাকা খরচ। ৫০ শতাংশ যাত্রী তুললে খরচের অর্ধেকও উঠবে না। প্রশাসন আমাদের বৈঠকে ডেকেছিল। আমরা এই কথাই জানিয়েছি।’’
জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিক নীলেশ দে বলেন, ‘‘বাস মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে বাস চালানোর জন্য খরচের প্রসঙ্গটি তোলা হয়েছে। কী হয় দেখা যাক।’’
এই মুহূর্তে জেলায় বাস পরিষেবা চালু করা উচিত নয় বলে মনে করেন বিধানসভায় কংগ্রেসের ‘ডেপুটি লিডার’ তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি ট্যুইট করে ওই বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। নেপালবাবু বলেন, ‘‘কেন এখনই বাস চালানো উচিত নয় তা আমি বলেছি। পুরুলিয়াকে ঘিরে একাধিক ‘রেড জ়োন’ রয়েছে। বাস চালানো হলে তা আত্মঘাতী পদক্ষেপ হবে বলে আমি মনে করি। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।’’