নিরুপায়: দুবরাজপুর ব্লক অফিসে এ ভাবেই ভিড় করে লাইনে বাসিন্দারা। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত
আবেদন করেও রেশন কার্ড মেলেনি। হাতে পাননি কুপনও। তাই সরকার দিলেও রেশন সামগ্রী তাঁরা পাচ্ছেন না—এই অভিযোগে সোমবার দুবরাজপুর ব্লক অফিসে লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেল শ’দুয়েক পুরুষ-মহিলাকে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘প্রান্তিক পরিবার আমাদের। এই কষ্টের সময় কেন আমরা রেশন সামগ্রী পাব না? একটা সময় ভিড়ের জন্য লকডাউনের সময় দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠল। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ডাকতে হল। ব্লক প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ভিড় জমেছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে যাঁরা এ দিন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের কারও পরিবারে রেশন কার্ড নেই। কোনও পরিবারের এক বা দু’জন সদস্যের থাকলেও বাকিদের নেই। চিনপাই থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কল্যাণী বাউড়ি বললেন, ‘‘আমার বাড়ির চার সদস্যের কারও রেশন কার্ড নেই।’’ স্বামীর থাকলেও তাঁর এবং দুই সন্তানের রেশন কার্ড নেই বলে জানালেন রুমা বাউড়ি। তিনি এসেছেন পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। দুবরাজপুর ইসলামপুরের বনকাটিপাড়া থেকে লাইনে দাঁড়ানো বধু আলোচনা বাদ্যকর, সাহাপুরের ভীম দাস, গোহালিয়াড়ের শেখ জাহাঙ্গিরেরও অভিযোগ, কার্ড নেই বলে তাঁরা লকডাউনের এই কঠিন সময়েও প্রাপ্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা দ্রুত কুপন দেওয়ার দাবি করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করে অনুমোদন মিলেছে অথচ এখনও রেশন কার্ড হাতে পাননি যাঁরা, তাঁদের জন্য কুপন বিলি করেছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে সাধারণ মানুষ খাদ্যাভাবে না পড়েন, তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পরেও কেন এমন ছবি?
বিডিও (দুবরাজপুর) অনিরুদ্ধ রায় বলেন, ‘‘প্রথম দফায় কুপন এসেছিল ১১ হাজার। সেটা মহিলা স্বনির্ভর দলের সদস্যদের মাধ্যমে বিলি করা হয়েছে। ফের কুপন এসেছে ৪৫৬টি। সেগুলি বিলি হচ্ছে। তবে এখনও সকলের কাছে হয়তো পৌঁছয়নি। যাঁদের প্রাপ্য তাঁরা সেই কুপন পাবেন। কিন্তু সে কথা জানতে পেরে সরাসরি অনেকেই ব্লক অফিসে এসেছিলেন।’’