শনিবার শান্তিনিকেতন এলাকায় তৃণমূল সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।
নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। তার জেরে ঘুম নেই নেতাদের। সেই পরিস্থিতিতেই শাসকদলের নির্বাচনী কর্মসূচি শুরু হয়ে গেল। শনিবার শান্তিনিকেতন থেকেই যাত্রা শুরু করলেন তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বীরভূম শাখার সদস্যরা। গত ১০ বছরে রাজ্যে কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প হয়েছে, মানুষের কল্যাণে তাঁদের সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার ফিরিস্তি দিলেন তাঁরা। ‘নিজ গৃহ নিজ বাড়ি’, ‘গীতাঞ্জলি’-সহ রাজ্য সরকারের ৩৬টি প্রকল্প সামেন রেখে মানুষকে বোঝাতে দেখা গেল তাঁদের।
শনিবার শান্তিনিকেতনের পিয়ারসন পল্লি, বালিপাড়া-সহ জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যান তৃণমূলের শিক্ষক সেলের সদস্যরা। দলের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করেন তাঁরা। প্রকল্পগুলির আওতায় যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য, সকলে সে সম্পর্কে অবগত কি না, আদৌ সব সুবিধা পাচ্ছেন কি না, স্থানীয়দের কাছ থেকে তা খুঁটিয়ে জেনে নিতেও দেখা যায় তাঁদের।
দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান তথা বীরভূমে দলের শিক্ষা সেলের পদাধিকারী প্রলয় নায়ক। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বার্তা পৌঁচ্ছে দিচ্ছি আমরা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বহু প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। অনেকেই তা জানেন না। প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা বুঝিয়ে দিচ্ছি সকলকে। লকডাউন চলাকালীন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের পড়িয়েছি আমরা। বই-খাতা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি এখন।’’
আরও পড়ুন: শুভেন্দু দলত্যাগ করবেন ধরেই কৌশল সাজাচ্ছেন মমতার সৈনিকরা
আরও পড়ুন: শুভেন্দু দলত্যাগ করবেন ধরেই কৌশল সাজাচ্ছেন মমতার সৈনিকরা
তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সামনে পেয়ে, বহু মানুষ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁদের সামনে। রেশন কার্ডের সমস্যা, বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ জানান অনেকে। খুব শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ঝড়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দল, এমন পরিস্থিতিতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলিই তাঁদের খেয়া পার করতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।