মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের দুয়ারে রেশন প্রকল্প।
চালু হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় বাঁকুড়ায় থমকে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের দুয়ারে রেশন প্রকল্প। পরিকাঠামো না থাকায় ডিসেম্বর মাসে দুয়ারে রেশন পৌঁছনো সম্ভব নয় বলেই জানাল বাঁকুড়া জেলা এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার বাঁকুড়া স্টেশন রোডে একটি বেসরকারি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়, ইচ্ছে থাকলেও দুয়ারে দুয়ারে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো নেই রেশন ডিলারদের। তবে আগের নিয়মে দোকান থেকে সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গুরুপদ ঢক বলেন, “দুয়ারে রেশনের পক্ষেই আমরা। কিন্তু আমাদের কোনও পরিকাঠামো নেই। পরিকাঠামো তৈরির জন্য এখনও কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি আমরা। ডিসেম্বর মাসে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। খাদ্য দফতরের থেকে আমরা এক মাস সময় চাইছি। মাসখানেক সময় পেলেই আবার জানুয়ারি থেকে তা চালু করতে পারব বলে মনে করছি।’’
যদিও অ্যাসোসিয়েশনের এই দাবিকে মানতে চাইছে না বাঁকুড়া জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর। আধিকারিক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, “দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি সরকারি প্রকল্প। এই প্রকল্প যাতে চলে, তার জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা করব আমি। ডিলারদের অনুরোধ করব, সরকারি নীতি অমান্য করবেন না। যা সমস্যা রয়েছে, তা সমাধান করা হবে। প্রত্যেক ডিলারকেই দুয়ারে রেশন চালু রাখতে হবে। তা না হলে খাদ্য দফতর কড়া ব্যবস্থা নেবে।”
শুধু দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়াই নয়, রেশন সামগ্রী বণ্টন নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি রেশন ডিলারদের। তাঁদের বক্তব্য, এখনও বহু গ্রাহক নিজের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত না করায় তাঁদেরকে বরাদ্দ রেশন সামগ্রী দেওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে শেখ বলেন, “রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত থাকতেই হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হলে আমাকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। আমি ব্যবস্থা নেব।”