ধনঞ্জয় চৌবে। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে আবারও গুলি চলার অভিযোগ! পার্টি অফিসে ঢুকে এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার আদ্রার পাণ্ডে বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তৃণমূলের দাবি, পার্টি অফিসে যাঁকে গুলি করা হয়েছে, তিনি আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। ওই ঘটনায় তলপেটে গুলি লেগেছে ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষী শেখর দাসের। তাঁকে বাঁকুড়ার মেজিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ যদিও ধনঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ নাগাদ একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। দু’জন আহত হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছি। দ্রুত দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’ কারও মৃত্যু হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে অভিজিৎ স্পষ্ট বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা এখনও মৃত বলে জানাননি।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের বারান্দায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে বসেছিলেন ধনঞ্জয়। সঙ্গে শেখরও ছিলেন। সেই সময় আচমকাই দু’জন বাইকে করে পার্টি অফিসে এসে গুলি ছুড়তে আরম্ভ করেন। অন্তত ছয় রাউন্ড গুলি চলেছে। এর পর ঘটনাস্থলে মোটরবাইক ফেলেই সেখান থেকে পালান আততায়ীরা। এই ঘটনার পর ধনঞ্জয় এবং শেখরকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধনঞ্জয়কে চিকিৎসকেরা এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরে পাঁচটি গুলি লেগেছে। শেখরের শরীরে একটি। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর তলপেটে গুলি লেগেছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। রাস্তার দু’ধারে ব্ল্যাক বুলেট পড়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আততায়ীরা .৩২ ক্যালিবারের বুলেট ব্যবহার করেছেন। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পার্টি অফিসের ভিতরেও একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে সেটি বিকল বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।