৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হেমা হাজরা (ডান দিকে)।
বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের দখলে। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন। অন্য দিকে, ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী আবার তৃণমূলে যোগদান করেন। যার ভোটের আগেই ওই ৪ নম্বর ওয়ার্ড জিতে নিল শাসকদল। গোটা ঘটনায় ‘চক্রান্ত’ দেখছে বিজেপি।
মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়েছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হেমা হাজরা। মহকুমা শাসকের অফিস থেকে হেমাকে জানানো হয়েছে, পুরসভার কাজ করে বেতন পান তিনি। সেই বেতনের টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢোকে। বিধি অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল করার আগে তাঁকে পুরসভার কাজ থেকে ইস্তফা দিতে হত। কিন্তু তা না করেই তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক। যদিও এই উত্তরে সন্তুষ্ট নন বিজেপি প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘‘যে কাজের কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নেই, তার ইস্তফাপত্র কী করে হতে পারে? বিজেপি-কে ভোটে লড়তে না দেওয়ার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে।’’ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, মহকুমা শাসক এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলে শুক্রবারই সিউড়ি আদালতে কিংবা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
ঘটনাচক্রে, ওই পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী রুপা হাজরা বৃহস্পতিবারই রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। আশিস বলেন, ‘‘যে হেতু বাম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করেছেন আর বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাই হিসেব মতো এই ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল তৃণমূল।’’