ফাইল চিত্র।
ভোটের আসে তৃণমূল সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে ব্যঙ্গের সুর শোনা গিয়েছিল তাঁদের অনেকের মুখে। বিধানসভা ভোটে রাজ্যে খাতা খুলতে না পারার পর দুবরাজপুর পুর এলাকায় সেই সিপিএম নেতা-কর্মীদেরই দেখা যাচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে এসে মানুষকে সাহায্য করতে।
গোটা রাজ্যের মতো একমাস ব্যাপী দ্বিতীয় দফায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে দুবরাজপুরে। পুর এলাকার বিভিন্ন শিবিরে উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের আবেদন পত্র পূরণ করা থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথম দফার দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হতে কম কটাক্ষ করেনি বাম-বিজেপি। ‘যমের দুয়ার’ ইত্যাদি আখ্যা সুর চড়িয়েছিল তারা। ভোটের পরে সেই সিপিএমের এই ‘ভোলবদল’কে অবশ্য স্বাগতই জানিয়েছে তৃণমূল। দুবরাজপুরের তৃণমূলের শহর সভাপতি মানিক মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন, নীতিগত বিরোধিতা থাকলেও বামেরা যে সেটা বুঝেছে সেটা সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা থেকেই পরিষ্কার। ওঁদের স্বাগত।’’
মোট ১৮টি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আসছেন বহু মানুষ। আবেদনপত্র পূরণ করার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। তাঁদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনের লোকজন আছেন। আছে বামেরাও। ১৬ তারিখে শিবির শুরুর দিন দুবরাজপুরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য আয়োজিত শিবিরে মানুষের সাহায্যে থাকতে দেখা গিয়েছিল সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শীতল বাউড়িকে। গত শনিবার একই জায়গায় আয়োজিত শিবিরেও থেকে সাহায্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
সিপিএম সূত্রে খবর, শুধু শীতলই নন বিভিন্ন শিবিরে পালা করে উপস্থিত থাকলেন এরিয়া কমিটির সদস্য পল্টু বাগদি, আচল বাউড়ি, উত্তম মিশ্র, সাদের আলমদের মতো নেতা কর্মীরা। ভোটের আগে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ করলেও এখন এই বোধোদয় কেন? শীতল বলছেন, ‘‘এই প্রকল্প কতটা মানুষের কাজে আসবে, কতদিন চলবে সেটা আলাদা প্রশ্ন, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে প্রকল্পগুলিকে জনমুখী সরকারি প্রকল্প বলেই মনে হয়েছে। তাই কোনও মানুষ যাতে এই সুবিধে থেকে বঞ্চিত না হন সেই দায়বোধ থেকে আমরা সাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছি।’’