বিশ্বভারতীর নতুন তৈরি গেট। নিজস্ব চিত্র।
পৌষমেলার মাঠকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে বার বার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বার সেই মেলার মাঠে গেটের নামকরণ হল কবিগুরুর কাব্যগ্রন্থের নামে। বিশ্বভারতীর এই পদক্ষেপকে বিতর্ক কিছুটা ‘প্রশমিত’ করার চেষ্টা হিসাবে দেখছেন শান্তিনিকেতনের অনেকে।
মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে কিছু দিন আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতন। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব— সকলেরই অভিযোগ ছিল, রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনায় ‘আঘাত’ করা হচ্ছে। পরে আদালতের তৈরি কমিটির নির্দেশে মেলার মাঠ ঘিরে পাঁচিল ও বেড়া দেওয়ার কাজ হয়।
মেলার মাঠে ঢোকার মূল রাস্তা বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে এবং ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউসের সামনে ২টি গেট তৈরি হয়েছে। যেগুলির নাম রাখা হয়েছে ‘বলাকা’ এবং ‘পূরবী’। মেলার মাঠের মূল গেটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীথিকা’। আপাতত অস্থায়ী ভাবে লিখে নামগুলি সেখানে ঝোলানো হয়েছে। গেট তৈরির কাজ শেষ হলে সেখানে ফলক বসবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
নামকরণের ব্যাপারে খুশি হলেও তার মধ্যেই আশঙ্কার মেঘ দেখছেন অনেকে। তাঁদেরই এক জন নুরুল হক যেমন বললেন, “এই নামকরণ কবিগুরুর ঐতিহ্য বৃদ্ধি করবে। তবে গেট তৈরির ফলে আগামী দিনে হয়তো সেন্ট্রাল অফিসের সামনের রাস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেবেন কর্তৃপক্ষ।”
বিশ্বভারতীর মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটির সদস্য সুব্রত ভকত ফের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব। তিনি বলেন, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্র ভাবধারার কোনও কিছুই অবশিষ্ট রাখতে চাইছেন না। সে কারণেই মেলার মাঠে পাঁচিল তুলে দেওয়া হল। তবে এই গেট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থের নামে হওয়ায় পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ— সবারই ভাল লাগবে।”