ফাইল চিত্র।
এক ধাক্কায় ২৮ ধাপ নেমে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকায় ৯৭তম স্থানে বিশ্বভারতী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতেও ১৪ ধাপ নেমে ৬৪তম স্থানে রয়েছে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার এ বছরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)-এর ক্রমতালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রক। সেখানেই বিরাট পতনের মুখোমুখি বিশ্বভারতী।
২০১৬ সালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় একাদশ স্থানে ছিল বিশ্বভারতী। সেখান থেকে ক্রম অবনতির পথ ধরে চলতি বছর তা ৬৪-তে। তবে, বিগত শিক্ষাবর্ষগুলিতে কখনওই একবারে ১৪ ধাপ পতন ঘটেনি বিশ্বভারতীর ক্রমতালিকায়। কবিগুরুর স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানের মানের এই ক্রম অবনমনের পিছনে বর্তমান কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যের কার্যকলাপকে দায়ী করছে একটা বিশ্বভারতীর একটা বড় অংশ।
উৎকর্ষের বিচারে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর তার একটি ক্রমতালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (অধুনা শিক্ষা মন্ত্রক)। প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো, পড়াশোনার মান, গবেষণার উৎকর্ষ, পেশাদারিত্ব, সমাজের সব শ্রেণিকে শিক্ষার মূল স্রোতে নিয়ে আসার চেষ্টা, পাশ করা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কেরিয়ার ইত্যাদির মানদণ্ডে নির্ধারণ করা হয় প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। একটি ক্ষেত্রে ছাড়া এই সব ক’টি বিষয়েই বিশ্বভারতী আগের থেকে পিছিয়েছে।
যেখানে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে চতুর্থ ও অষ্টম স্থানে রয়েছে, সেখানে রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর এই অবনমনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্বভারতীর মানের অবনমনের পরে কর্তৃপক্ষের একটি অংশ জানিয়েছিল, উপাচার্য নতুন এসেছেন, তিনি হাল ধরবেন এবং তাঁর হাত ধরেই বিশ্বভারতী ঘুরে দাঁড়াবে। এ দিন এনআইআরএফ-এর ক্রমতালিকা অবশ্য পুরো অন্য কথা বলছে। ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “এটা হওয়ারই ছিল। পড়াশোনা বন্ধ করে শুধুই রাজনীতি চলতে থাকলে যা হওয়া উচিত, সেটাই হয়েছে। এর জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশেষত উপাচার্য সম্পূর্ণ দায়ী। কর্তৃপক্ষের খোলনলচে সম্পূর্ণ বদলাতে না পারলে এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য এ বার তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।”
এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।