কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিক, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের একাংশ শনিবার মিছিল করে শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে এসে তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর তোলা ছবি।
উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে শনিবার কথা বললেন উপাচার্য। এ দিন রথীন্দ্র অতিথি গৃহে সুশান্তবাবুর সঙ্গে কমিটি ঘণ্টা খানেক আলোচনা করে। এর আগে এক দফা কলকাতায় এসে বিশ্বভারতীর নানা পক্ষের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছিল ওই কমিটি। দ্বিতীয় দফায় তিন সদস্যের ওই কমিটি শান্তিনিকেতনে এসে তদন্ত করছে।
উপাচার্য অবশ্য এদিন কথাবার্তার পরে জানান, তিনি কমিটির প্রশ্নের উত্তর দিতে যাননি, কেবল আলোচনার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও চিঠি আমি পাইনি। কর্মসচিবও পাননি। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল দু’মাস হল, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি কী বিষয়ে উত্তর দেব?’’ উপাচার্য জানান, তথ্য অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন বিচারপতিকে তিনি এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তাঁরা শীঘ্রই সুশান্তবাবুর কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত বছর থেকেই সুশান্তবাবু এবং বর্তমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে শিক্ষক, আধিকারিক, অভিভাবক ও কর্মীদের জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটি। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি-সহ একাধিক মহলে চিঠি পাঠায় তারা। বিশ্বভারতীকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে এ দিনও বিশ্বভারতীর কর্মী, জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি একটি মিছিল করে শান্তিনিকেতনে। ওই মিছিল রতনকুঠিতে গিয়ে দেখা করে কথা বলে কমিটির সঙ্গে।
তথ্য অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান তথা এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সখারাম সিংহ যাদব বলেন, “তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা এসেছি। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দেব।”