Vishva Bharati University fellowship

ফেলোশিপ, দাবি মানল বিশ্বভারতী

গবেষকদের তিন দফা দাবিগুলি ছিল, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের গবেষকদের জন্য নন-নেট ফেলোশিপ চালু করা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি

গবেষক ছাত্র-ছাত্রীদের বকেয়া ফেলোশিপ সহ তিন দফা দাবির প্রায় পুরোটাই মেনে নিল বিশ্বভারতী। বুধবার বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক রিসার্চ দফতরে তিন গবেষক ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বসেন যুগ্ম কর্মসচিব প্রশান্ত মেশরাম, ভারপ্রাপ্ত ফিনান্স অফিসার প্রশান্ত ঘোষ এবং সহকারী কর্মসচিব দৈবকিনন্দন দাস। সেখানেই ওই সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

গবেষকদের তিন দফা দাবিগুলি ছিল, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের গবেষকদের জন্য নন-নেট ফেলোশিপ চালু করা। গবেষকদের স্বার্থে হস্টেলগুলি খোলা। সমস্ত বর্ষের গবেষকদের ছ’মাস এমফিল ও পিএইচডি রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ানো। বিশ্বভারতী লিখিত ভাবে জানিয়েছে, ২০১৮-২০১৯ সালের গবেষকদের চলতি মাস থেকেই ফেলোশিপ চালু করা হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফেলোশিপ সংক্রান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

নভেম্বরের শেষেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে। আগামী বছর মার্চ মাসে বিশ্বভারতীর আর্থিক সঙ্গতি ঠিক থাকলে বকেয়া ফেলোশিপের টাকাও দেওয়া হবে। সমস্ত গবেষকদের রেজিস্ট্রেশন-এর সময়সীমা ছ’মাস বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে, গৃহমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করে গবেষক হস্টেল খোলা হবে।

Advertisement

বাংলা বিভাগের গবেষক ছাত্র ব্রজসৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গবেষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলেই কিছুটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাল বিশ্বভারতী। তবে প্রতিশ্রুতি আগেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আশা করছি এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।” ২০১৬ সালে যাঁরা বিশ্বভারতীতে গবেষক হিসেবে ভর্তি হন, তাঁদের সময় থেকেই অসুবিধার সূত্রপাত। বহু আন্দোলন ও প্রতিশ্রুতির পরেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।

পদার্থবিদ্যা বিভাগের গবেষক ছাত্র অমিত মণ্ডল বলেন, “সমস্যার কথা আচার্য, ইউজিসি, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সহ সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েছিলাম। উপাচার্য মহাশয়কে আলোচনার কথাও বলা হয়েছিল। না হলে ১৪ অক্টোবর সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হবে বলে জানানো হয়েছিল।” সেই মতো এ দিন সকালে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে গবেষকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিলে আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। তার সমাধান সূত্রে আপাতত খুশি গবেষকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement