শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার পূর্ত দফতরের রাস্তায় ভারী যান চলাচলে নিষিদ্ধ বলে বোর্ড লাগিয়েছে বিশ্বভারতী। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
আশ্রমের ভিতরের রাস্তা ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার উত্তর এখনও রাজ্যের তরফে মেলেনি। শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার সেই রাস্তার উপরে এ বার বিশ্বভারতীর বোর্ড লাগানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই বোর্ডে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় লেখা হয়েছে, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যস্থলে প্রবেশ। ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশান্তি বজায় রাখুন’।
শান্তিনিকেতনের একাংশের অভিযোগ, ওই রাস্তাটি বর্তমানে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বোর্ডও লাগানো আছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে বোর্ড লাগাতে পারেন? সম্প্রতি ওই রাস্তায় ‘হাইটবার’ বসানো নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্বভারতী। টোটোর প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উপসাগৃহ থেকে কালীসায়র পর্যন্ত ওই রাস্তা যাতে বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে না- দেওয়া হয়, তার জন্য কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ বিভিন্ন জনকে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁরা চিঠিতে দাবি করেন, বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষণার পরে পরেই উপাচার্য ওই রাস্তাটিকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে টোটোর যাতায়াত বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ পর্যটকদের ভোগান্তিতে ফেলেছেন।
এ বার সেই রাস্তায় বোর্ড বসানো ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “শান্তিনিকেতনে উপাচার্য রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দিয়ে নিজের কৃতিত্ব নিয়ে বড়াই করতে চাইছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের রাস্তা উনি নিজের বলে দাবি করবেন না, এটাই বা কী করে হতে পারে!” যদিও এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় কোন মন্তব্য করতে চাননি।