ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষা, ভর্তি প্রক্রিয়া ও জরুরি কাজ চালু থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ‘বাড়ি থেকে অফিসের কাজ’ করার কথাও জানানো হল। তবে এই মুহূর্তে অফিস খোলার কোনও পরিকল্পনা নেই কর্তৃপক্ষের। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে মনে করে আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ি থেকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৭ অগস্ট মেলার মাঠ পাঁচিলে ঘেরা নিয়ে তেতেছিল বিশ্বভারতী চত্বর। তার পরেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর সমস্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরে সোমবার পরিস্থিতি
পর্যালোচনা করতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানরা। শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ছাত্রস্বার্থে পরীক্ষা প্রক্রিয়া, ভর্তি প্রক্রিয়া, অনলাইন পড়াশোনা সহ বিশ্বভারতীর প্রয়োজনীয় কাজকর্ম আবার চালু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, বিশ্বভারতীর মহিলা কর্মী ও আধিকারিকরা ক্রমাগত হুমকি ও মৌখিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতে অফিসে এসে কাজ করা সম্ভব নয়। অধ্যাপকেরাও কাজ করবেন বাড়ি থেকেই। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে সব কথা জানানোর পরেও গোটা ঘটনায় যে ভাবে উপাচার্যকে দায়ী করা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।
বৈঠকে আশ্রমিক সহ বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত বাকিদের উদ্দেশে অনৈতিক ভাবে অধিগৃহীত জমি ফেরাতে, আর্থিক অনুদান করতে ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাহায্যেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে বেড়া বা পাঁচিল কেন প্রয়োজন, সেই বিষয়ে দীর্ঘ বক্তব্য জানানো হয়। আনা হয়েছে বেশ কিছু পুরোনো প্রসঙ্গ।
বিশ্বভারতী দাবি করেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়, বরং নোবেল চুরির পরে বিভিন্ন কমিটির সুপারিশে পাঁচিল বা বেড়া তৈরি হচ্ছে। নোবেল চুরি ছাড়াও, ২০০৮ সালে আনন্দ সদন হস্টেলে সঙ্গীতভবনের এক ছাত্রীকে খুন, পাঠভবন চত্বরে যুগলের আত্মহত্যা, রবীন্দ্রভবন থেকে চন্দন গাছ চুরির মতো ঘটনাগুলিকেও সীমানা ঘেরার ঢাল হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বভারতী।