বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
একাধিক বার বিভোক্ষ আন্দোলনের পরেও দাবি পূরণ না-হওয়ায় সোমবার বিশ্বভারতীর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির অংশীদারেরা বিশ্বভারতীর কর্মসচিবকে স্মারকলিপি দিলেন। দ্রুত দাবি পূরণ না-হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার কথা বলেছেন তাঁরা।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা যায়, তাদের কর্মী, অধ্যাপক ও পেনশনভোগীরাই শুধুমাত্র বিশ্বভারতী সমবায় সমিতির অংশীদার হতে পারে। বর্তমানে সমিতির অংশীদারের সংখ্যা ১৫০০-র কিছু বেশি। প্রথমে প্রতি ২৫ জন অংশীদারের মধ্য থেকে এক জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। তার পরে সেই প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে বেছে নিয়ে বোর্ড অব ডিরেক্টরস নির্বাচন করেন। সেই ১২ জন আবার নির্বাচন করেন চেয়ারম্যান, সম্পাদক-সহ সমবায় সমিতির পদাধিকারীদের।
অংশীদারদের অভিযোগ, সমবায় সমিতির পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। গত তিন বছর ধরে এই সমবায়ের নির্বাচন না হওয়ার কারণে অংশীদাররা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বোর্ড অব ডিরেক্টরস না-থাকায় কোন সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না সমিতি। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি, অবস্থান বিক্ষোভ, এমনকি সমিতি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই ফের এ দিন সমিতির অংশীদারদের তরফে বোর্ড অব ডিরেক্টরস নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা, অংশীদারদের লভ্যাংশ-সহ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতীর কর্মী, শিক্ষকদের একাংশ জানান, সমিতির অংশীদারদের ঋণ পরিশোধের কিস্তি কর্মীদের মাসিক বেতন থেকে কাটা হয়। সেই টাকা বিশ্বভারতী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটিকে প্রদান করা হয়। তাই যতক্ষণ না লভ্যাংশের টাকা অংশীদারদের মেটানো হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কিস্তির টাকা কাটার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখারও এ দিন আবেদনে জানানো হয় কর্তৃপক্ষকে। অংশীদারদের তরফে ভ্রমর ভান্ডারী, ভগীরথ মণ্ডলরা বলেন, “কর্মীদের সার্বিক আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক কর্তৃপক্ষ এবং ক্রেডিট সোসাইটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করুক বিশ্বভারতী। আমাদের দাবি পূরণ না হলে নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
সমিতির স্পেশাল অফিসার কৌশিক ঘোষ বলেন, “সমিতির তরফে নির্বাচন করানোর ব্যাপারে এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা অংশীদারদের হাতে তুলে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”