নিজস্ব চিত্র
জেলার পাঁচ পুরসভায় কবে ভোট হবে, তা এখনও জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার আগেই রামপুরহাট পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা চলে এল নেটমাধ্যমে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে চাপানউতর।
শীঘ্রই ভোট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন, এমনটা ধরে নিয়ে প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। শাসকদলও বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছে। এই অবস্থায় রামপুরহাট পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়। এলাকার ১৮টি ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ওই বার্তা পাঠানোর অ্যাপে ভাইরাল হতে শুরু করে। তাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে ক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করে।
এই ভাইরাল প্রার্থিতালিকা নিয়ে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত দলের তরফ থেকে কোনও প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়নি। যে প্রার্থিতালিকা ভাইরাল হয়েছে, তা ভুয়ো। তালিকা বিবেচনাধীন। প্রদেশ থেকে অনুমোদন দিলে তার পর বীরভূম জেলা সভাপতি হিসেবে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করবেন।’’
তবে এই প্রার্থিতালিকা ভাইরাল হতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করেছে। রামপুরহাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার পারমিতা রায় গত পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। এক বছর যেতেই তিনি ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। কিন্তু ভাইরালে প্রার্থিতালিকায় তাঁর নাম নেই। এই নিয়ে ক্ষুদ্ধ পারমিতা বলেন, ‘‘রামপুরহাট পৌরসভার চার বিজেপি, দুই কংগ্রেস ও এক সিপিএম কাউন্সিলর— সকলেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। আমিও ছিলাম সেই দলে। কিন্তু এখন যে প্রার্থিতালিকা দেখা যাচ্ছে, সেখানে আমাদের নাম নেই। দল এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ও এখন অবধি করেনি।’’
ভাইরাল হওয়া সেই তালিকা। নিজস্ব চিত্র
অন্য দিকে, এই ভাইরাল প্রার্থিতালিকাকে কেন্দ্র করে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রামপুরহাট এলাকার বিজেপি নেতা শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রার্থিতালিকা ভাইরাল হতেই শাকদলের অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। আমরা দলের পক্ষ থেকে সব বিষয়ের উপর নজর রাখছি।’’
জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন,‘‘কে এই তালিকা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’