ধর্মরাজের পুজোইধুম । বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের শুগুনপুরে। ছবি: পাপাই বাগদি।নিজস্ব চিত্র
ধর্মরাজের পুজোয় মাতল মহম্মদবাজার ব্লকের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের শুগুণপুর গ্রাম-সহ সাঁইথিয়া ও আমোদপুর এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ পুজোয় ফলের সঙ্গে পদ্মফুল নিবেদন করতে হয় ভক্তদের। এ বছর পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় সেই পদ্মফুল সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক ভক্তকেই। যা মিলেছে তার দামও ছিল চড়া।
দুর্গাপুজোয় ১০৮টি পদ্ম লাগে। পদ্ম লাগে ধর্মরাজের পুজোয়ও। তীব্র গরমে মহম্মদবাজার, সাঁইথিয়া ও আমোদপুর-সহ আশপাশের অঞ্চলের অধিকাংশ পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় সেই পদ্মই এ বার অমিল। ফলে, সমস্যায় পড়েছেন ধর্মরাজের পুজোর ভক্তেরা। এ দিন পুজোর জন্য পর্যাপ্ত পদ্ম জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় ভক্তদের। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে পদ্ম জোগাড় করতে হয়েছে। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত ছিল না।
নানা পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবের গাজনের মতো অনেকে এই সময়ে ধর্মরাজের ব্রত নেন। আজকে নিয়ে তিন দিন ধরে পুজো চলে। সেই পুজোয় পদ্মফুল নিবেদন করতে হয়। এ বার তেমন পদ্ম না থাকায় সেখানেই সঙ্কট দেখা গিয়েছে। ফুলের জন্য বিভিন্ন গ্রামের পুকুরে খোঁজ করে কিছু পদ্ম মিলেছে। কিন্তু অন্য বারের চেয়ে অনেকটাই কম। অধিকাংশ জায়গায় গাছই নেই। কোথাও কোথাও গাছ থাকলেও ফুল নেই। যে সমস্ত জায়গায় পদ্মফুল রয়েছে, সেগুলি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয়েছে। যা অন্য বছর এক থেকে দু টাকা হিসাবে বিক্রি হত। আর এই দাম দিয়ে পদ্ম কিনতে সমস্যায় পরতে হয় অনেককেই।
আমোদপুরের নহনা ও মসড্ডা গ্রামের পুজো কমিটি বিকাশ মণ্ডল, ভক্ত তপন বাগদি, মহম্মদবাজারের শুগুনপুর গ্রামের দুই পুজো কমিটির সদস্য প্রহ্লাদ পাল ও বর্ষণ পালেরা বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর মতো এ ক্ষেত্রে যাঁরা ব্রত পালন করে তাঁদের পদ্মফুল দিতেই হয়। কিন্তু এ বছর পুকুরে জল না থাকায় পদ্ম ফুল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ভক্তদের। এলাকায় যাঁরা ফুলের ব্যবসা করেন, তাঁদেরকে বাইরে থেকে ফুল এনে দিতে হয়েছে। সেটাও আবার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাছাড়াও ভক্তরা যে পরিমাণ পদ্ম ফুল নিয়ে পুজো করাতে আসে। এ বার ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এক থেকে দু’টি করে পদ্মফুল এনে পুজো করাতেও দেখা যায়।’’