রামপুরহাট রেলপাড়ে হকার ও বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
রামপুরহাট রেলপাড়ের দোকান উচ্ছেদের জন্য দিন দু’য়েক আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো শনিবার সকাল থেকে তাঁরা উচ্ছেদ অভিযানের উদ্যোগ করেন। কিন্তু সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখে রেলের উচ্ছেদে বাধা দিলেন রেলপাড়ের শ’দুয়েক দোকানদার। এদিন আন্দোলনে শামিল হন তাঁরা।
দোকানদারেরা সকালে রেলের সহকারী বাস্তুকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য জড়ো হন। তখন সহকারী বাস্তুকার দফতরে ছিলেন না। তাঁকে অফিসে না পেয়ে দোকানদারেরা অন্য কর্মীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। ইতিমধ্যে রেলের আধিকারিক, রেলের সশস্ত্র বাহিনী-সহ রেল পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানের জন্য রেলপাড়ে উপস্থিত হন। সেখানে জড়ো হন দোকানদারেরাও। ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনে রামপুরহাট শহর কংগ্রেস সভাপতি সাহাজাদা হোসেন কিনু ও সিটুর রাজ্য কমিটির সদস্য অমিতাভ সিংহ নেতৃত্ব দেন। তাঁরা রেলের আধিকারিক-সহ রেলের সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার ইনচার্জ হংসরাজ মীনার কাছে দোকানিদের পুর্নবাসন বা বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না বলে দাবি জানান।
ইতিমধ্যে রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি শুদ্ধধন বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় আসেন ও তিনিও দোকানদারদের বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি জানান। ততক্ষণে রেলের তরফে পাকুড় থেকে ইন্সপেক্টর অফ ওয়ার্কস পরিতোষ রঞ্জন ঘটনাস্থলে এসে রেলের জায়গায় থাকা অবৈধ দোকানগুলির ছবি তুলতে শুরু করেন ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, রেলের জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে দোকান চালিয়ে ছোট ব্যবসার মাধ্যমে তাঁরা সংসার চালাচ্ছেন। আশেপাশের গ্রাম থেকে আনাজ এনে সেখানে বিক্রি করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কোয়ার্টারের নিবাসী রেলের কর্মীরা তাঁদের কাছ থেকে বাজার করেন, তাঁদেরও সুবিধা হয়। এখন কোনও বিকল্প ছাড়া তাঁদের উচ্ছেদ করে দিলে শতাধিক দোকানদারের কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। আন্দোলনকারীরা রেলের আধিকারিকদের কাছে আলোচনা করে সুষ্টু সমাধানের জন্য আবেদন জানান। রেলের আধিকারিকেরা আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কয়েকদিনের মধ্যে আলোচনার আশ্বাস দেন।