Train Accident

ধুলো-শব্দ-পাথরে আতঙ্ক রেলযাত্রীদের

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গুড়াপ স্টেশনের কিছু আগে ট্রেনের ডি ওয়ান সংরক্ষিত কামরার নীচে একটি যন্ত্রাংশ হঠাৎই খুলে গিয়ে মাটিতে ঘষতে থাকে। এর ফলে বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে ট্রেনের চতুর্দিক।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ 

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। কামরার নীচে লাইনের পাথর। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল হাওড়া থেকে বোলপুরগামী আপ শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হুগলির গুড়াপ স্টেশনের কিছু আগে। এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গুড়াপ স্টেশনের কিছু আগে ট্রেনের ডি ওয়ান সংরক্ষিত কামরার নীচে একটি যন্ত্রাংশ হঠাৎই খুলে গিয়ে মাটিতে ঘষতে থাকে। এর ফলে বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়ায় ভরে ওঠে ট্রেনের চতুর্দিক। আতঙ্কিত হয়ে বলেন যাত্রীরা। তাঁদের চিৎকারে ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। অনেক যাত্রী আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমেও পড়েন। খবর দেওয়া হয় দমকল থেকে শুরু করে রেলের বিভিন্ন আধিকারিক ও টেকনিশিয়ানদের। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের চেষ্টায় যন্ত্রাংশ মেরামত করে ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ বোলপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা পরে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ বোলপুরে পৌঁছায় ট্রেনটি।

স্টেশনের ট্রেন থামা মাত্রই বহু যাত্রী রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। রেললাইনের পাথরের আঘাতে বাতানুকূল কামরার একটি কাচ ভেঙে যায় বলেও যাত্রীদের অভিযোগ। কলকাতা থেকে বোলপুরে বেড়াতে আসা পর্যটক সাগরিকা দত্ত বলেন, “ট্রেন ভালই চলছিল। হঠাৎ করে বিকট আওয়াজ করে থেমে গেল। পাথর উড়ে এল। ধুলো-ধোঁয়ায় চারদিক ভরে যায়। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল হয়তো ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। পরে জানতে পারি, আমাদের কামরার নীচের একটি যন্ত্রাংশ খুলে গিয়েছিল।’’

Advertisement

যাত্রী ইন্দ্রাণী বসু, কল্যাণী দেব, আঁখি অধিকারীরা বলেন, “ যেভাবে বিকট আওয়াজ, ধোঁয়া ও পাথরবৃষ্টি হচ্ছিল, তাতে মনে হল সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলাম। অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলি দেখা উচিত।” পূর্বরেলের এক আধিকারিক বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। কোনও কারণবশত কামরার নীচে থাকা একটি যন্ত্রাংশ খুলে যায়। খবর পাওয়ার পরে দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করে ফের ট্রেনটিকে বোলপুরের উদ্দেশে রওনা করানো হয়। যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালেও সকলেই সুস্থ আছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement