সিউড়ির এক সিনেমা হলে স্যানিটাইজ়েশন এর কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
বোলপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহের তরফে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশ মেনেই সমস্ত কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হবে। দর্শক হলে এসে সিনেমা দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। দুবরাজপুরের একটি হল সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার থেকেই প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে ও বাইরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কাজ শুরু হয়েছে। হলের অপারেটর সুদেব মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে একটি বাংলা সিনেমা চলবে। তার জন্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে সব কাজ এগোচ্ছে।’’ একই বক্তব্য সিউড়ির একটি সিনেমা হলের মালিক ইন্দ্রনীল চৌধুরীরও।
চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়ে দেয় ১৫ অক্টোবর থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স এবং থিয়েটার হল খুলবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে নির্দেশিকাও জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে হলে জীবাণুনাশ তো করতে হবেই, সেই সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে অন্তত ছ’ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বাইরে লাইন দেওয়া থেকে, হলের ভিতর বসে ছবি দেখা, মুখে মাস্ক থাকতে হবে সারাক্ষণ। নইলে হলে ঢোকা যাবে না। প্রবেশের রাস্তা ও বাইরের রাস্তা সব জায়গাতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তবে গোটা ব্যাপারটাই হতে হবে ‘টাচ-ফ্রি মোডে’। অর্থাৎ এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে স্পর্শ না করেই বোতল থেকে স্যানিটাইজার নেওয়া যায়।
জেলার সমস্ত হল কী এই নির্দেশিকা যথাযথ মানতে পারবে? সবই নিশ্চিতভাবে মানা হবে বলে দাবি করেছেন সিউড়ি বোলপুর দুবরাজপুর সব জায়গার হল মালিকেরা। সকলেই জানাচ্ছেন দর্শকদের বাসার আসন নির্দিষ্ট করা হবে দূরত্ববিধি বজায় রেখে। কড়া নজরদারি থাকবে মাস্ক পরার বিষয়টিতে। কোভিড উপসর্গ রয়েছে এমন কাউকে হলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। থাকছে থার্মল স্ত্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। এত বিধি নিষেধ সত্ত্বেও এতদিন পর প্রেক্ষাগৃহ খোলা যাচ্ছে বলে এটাকেই ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন সকলেই।
তবে ভিন্ন ছবিও আছে। এমনিতেই দর্শকের অভাবে সিউড়ি সাঁইথিয়া বোলপুর, রামপুরহাট-সহ বেশ কিছু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে আগেই। মুরারই ১ ব্লকে সিনেমা যে হলটি চালু ছিল লকডাউনের আগে পর্যন্ত সরকারি নির্দেশের সেটিও খোলা যাচ্ছে না। হল মালিক সফিক আহম্মদ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে হল রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। কিন্তু, কলকাতা থেকে টেকনিশিয়ান আসতে না পারায় কবে হল খুলতে পারব জানি না।