বিশ্বভারতী। ফাইল চিত্র।
আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ তিন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না করেই বার বার বাড়ানো হচ্ছিল সাসপেনশনের মেয়াদ। এ বার দ্রুত সেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিল ইউজিসি। গত শুক্রবার ইউজিসি-র তরফে এই মর্মে ইমেল পাঠানো হয়েছে বিশ্বভারতীকে।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের তরফেও উপাচার্যের নানা মন্তব্য ও কাজের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অবস্থান-বিক্ষোভ, স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি ইমেল পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়েক আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে।
তিন পড়ুয়ার উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে ইউজিসি-কেও ইমেল পাঠিয়েছিল ছাত্র সংঠন এসএফআই। তারই জেরে এ বার বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার-কে ইমেল পাঠালেন ইউজিসি-র আন্ডার সেক্রেটারি। বিশ্বভারতীর ছাত্র নেতা জয়দীপ সাহা সোমবার বলেন, ‘‘গত ২৪ জুন বিশ্বভারতীর এসএফআই সংগঠনের তরফে ইউজিসি-কে ইমেল মারফৎ অভিযোগ করা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।’’
এসএফআই সদস্য মইনুল হোসেন বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র এবং সঙ্গীত ভবনের এক ছাত্রীকে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ দিন সাসপেন্ড করে রেখেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে তারা সঠিক ভাবে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে না। অথচ অনৈতিক ভাবে সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়িয়ে চলেছে বিশ্বভারতী। এতে তাঁদের শিক্ষা জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ছে।’’
ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা উপাচার্যের নানা বিতর্কিত মন্তব্য এবং কাজ নিয়ে ইউজিসি-কে ইমেল পাঠিয়েছিলেন। উপাচার্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাওবাদী বলার পাশাপাশি নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তার ‘সাউন্ড ক্লিপ’ও পাঠানো হয়েছিল ইউজিসি-র কাছে।