পরিবারের অভিযোগ, ওই দুই মহিলা গোপনে তন্ত্রসাধনা করেন। তন্ত্রসাধনার জন্যই তাঁরা জিভ কেটে নিয়েছেন ওই তরুণের। নিজস্ব চিত্র। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
তরুণ অতিথিকে মদের আসরে ডেকে তাঁর জিভ কেটে নিলেন আপ্যায়নকারী দুই মহিলা। এমনই অভিযোগ উঠল বোলপুরের শান্তিনিকেতন থানা এলাকার এক আদিবাসী জনপদে। সোমবার রাতে সেখানে এক মদ্যপানের আসরে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন ২০ বছরের এক তরুণ। পরে সেখান থেকেই তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর এক বন্ধু।
পাড়ারই এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মদ্যপানের সান্ধ্যকালীন আমন্ত্রণ ছিল। মদের আসরে তরুণের সঙ্গী ছিলেন তাঁর বন্ধুও। তবে ঘটনাচক্রে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য তিনি শৌচাগারে যান। তাঁর চোখের আড়ালেই ঘটে যায় গোটা ঘটনাটি। আহত তরুণের বন্ধু পরে পুলিশকে জানিয়েছেন, মদের আসরে প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। যদিও তরুণের পরিবারের অভিযোগ, পড়শি দুই মহিলা গোপনে তন্ত্রসাধনা করেন। তন্ত্রসাধনার জন্যই তাঁরা জিভ কেটে নিয়েছেন ওই তরুণের। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
বোলপুরের শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত ফুলডাঙা গ্রামে আদিবাসী পাড়ার ঘটনা। আহত তরুণের নাম শ্যামাই সোরেন। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ শ্যামাই তাঁর বন্ধু মুকুলের সঙ্গে মদ খেতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশী বৃদ্ধা পাকু টুডুর বাড়িতে। মুকুল জানিয়েছেন, মদের আসর ওই বৃদ্ধার সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল শ্যামাইয়ের। এর কিছু ক্ষণ পর মুকুল শৌচাগারে যাওয়ার জন্য আসর ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফিরে এসে শ্যামাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। পুলিশকে মুকুল জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর পরিবারের আর এক মহিলা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। এমনকি ওই দু’জনে তন্ত্রসাধনার জন্য এই কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মুকুল। একই অভিযোগ করেছেন শ্যামাইয়ের পরিবারও।
সোমবার রাতে এই ঘটনার পর ওই তরুণকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। কিন্তু অর্থাভাবে ওই যুবকের পরিবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে পারেননি। তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।