চায়ের দোকানে সনাতন সরেন। —ফাইল চিত্র।
তিনি চলেছেন স্রোতের বিপরীতে। যখন শাসক দলের ছোট-বড় অসংখ্য নেতার বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি করার অভিযোগ উঠছে তখন দু’বিঘা জমি, একটি চায়ের দোকান, মাটির ঘরই ভরসা অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রধান সনাতন সরেনের। এ বারও ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁরা আশা, এ বারও ভোটারদের আর্শীবাদ পেতে চলেছেন তিনি।
এ বার অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সনাতন। পাড়ুইয়ের সহিসপুর গ্রামের বাসিন্দা সনাতন। স্ত্রী ধানী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দু'বিঘা জমিতে চাষ করে আর চায়ের দোকান চালিয়েই সংসার চলে তাঁর।
২০০৮ থেকে পাঁচ বছর সিপিএমের প্রধান ছিলেন। ২০১৬তে তৃণমূলে যোগদান করেন। ২০১৮ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে তৃণমূলের হয়ে ফের প্রধান হন। দল বদলালেও বদলায়নি তাঁর জীবনযাত্রা। টিনের ছাউনি দেওয়ামাটির বাড়ি। চায়ের দোকান, একটি মাত্র সাইকেলই ভরসা। জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যখন নানা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে তখন আবাস যোজনায় নিজের বাড়িও জোটেনিসনাতনের। এ বার সেইসনাতনের উপরেই ভরসা রেখেছে দল।
সনাতন বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে মানুষের জন্য যেটুকু কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তাই করেছি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করিনি। আশা করি মানুষ আবার আমাকে ভালবেসে জেতাবেন।” রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের আদর্শ। ও ভাল ছেলে। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছে। তাই ওঁকে আবার দলের তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে।’’