Girl

Girl: ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে পড়তে চায় স্টেশনে উদ্ধার দুই নাবালিকা

এ দিন সকালে বিষ্ণুপুর স্টেশনে ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো মেয়ে দু’টি নজরে পড়ে আরপিএফ কর্মীদের। তাঁদের কাছে খাবার চাইছিল তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২২ ০৭:৫৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বাবার মৃত্যুর পরে, মা-রা তাদের ‘জোর’ করে ভিক্ষা করাতেন বলে দাবি। চাইল্ড লাইনের ‘কাকু’দের কাছে দুই বোনের তাই আর্জি ছিল, মায়েদের কাছে ফিরিয়ে না দেওয়ার। শিশুকল্যাণ সমিতির নির্দেশে আপাতত হোমে ঠাঁই হয়েছে বছর বারো ও আটের মেয়ে দু’টির। চাইল্ড লাইনের বাঁকুড়া কো-অর্ডিনেটর সজল শীল জানান, শনিবার তাদের পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকালে বিষ্ণুপুর স্টেশনে ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো মেয়ে দু’টি নজরে পড়ে আরপিএফ কর্মীদের। তাঁদের কাছে খাবার চাইছিল তারা। তাঁরা তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেন। সজল জানান, কাউন্সেলিং-পর্বে জানা যায়, মেয়ে দু’টির বাবা দু’টি বিয়ে করেছিলেন। তারা সৎ-বোন। কয়েক বছর আগে, বাবা মারা যাওয়ার পরে, বাড়ি ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্টেশনে এসে ওঠেন তাদের মায়েরা। তখন থেকেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু দুই বোনের। দিনভর নানা ট্রেনে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে দিনের শেষে মায়েদের কাছে ফিরে যেত তারা।

বছর বারোর নাবালিকাটি জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে তাদের মারধর করেন মায়েরা। অন্য কোথাও চলে যেতেও বলেন। তার পরে, আর পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই স্টেশনে ফেরেনি তারা। ট্রেনে-ট্রেনে ভিক্ষা করে খাবার কিনে খেত। শুক্রবার বিষ্ণুপুরে এসে পৌঁছয়। তবে রাতে পয়সা জোটাতে না-পারায় খাবার কিনতে পারেনি। এ দিন সকাল হতেই তাই মরিয়া হয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করতে শুরু করেছিল তারা। যদিও তাদের বাড়ি কোথায় ছিল, জানাতে পারেনি মেয়ে দু’টি।

Advertisement

উদ্ধার হওয়ার পরে, বিষ্ণুপুর হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। সজল বলেন, “ওরা পড়তে চায় বলে জানিয়েছে। তবে কোনও মতে মায়ের কাছে ফিরতে রাজি নয়, বার বার সে কথা বলেছে।” তাদের মায়েদের সন্ধান পেতে পশ্চিম মেদিনীপুর চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement