(বাঁ দিক থেকে) সূচনায় মন্ত্রী। অন্য কাজের ফলক। নিজস্ব চিত্র।
একটিই রাস্তা। আলাদা আলাদা দরপত্র আহ্বান করে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (ডব্লিউবিএসআরডিএ) ও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। পুরলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ওই এলাকারই বাসিন্দা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। প্রশ্ন উঠছে দু’টি সরকারি দফতরের সমন্বয় নিয়ে।
চাষমোড় থেকে পটমপুরা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা রয়েছে। পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছ, রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা গ্রামীণ উন্নয়ণ সংস্থা ওই যোজনার রাস্তাগুলির দেখভাল করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। রাজ্য সরকারের ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির সময়েও অনেকে এ বিষয়ে সরব হন।
গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার জেলার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সনুপ মণ্ডল জানান, পাঁচ বছর বা তারও আগে তৈরি ৮৮টি বেহাল রাস্তা সংস্কারের জন্য গ্রামোন্নয়ন দফতরে সুপারিশ করা হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে অনুমোদন মেলে। তার পরেই দরপত্র আহ্বান হয়েছিল। সনুপবাবু জানান, চাষমোড়-পটমপুরা রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ৬৮.৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সংস্কারের বরাত পেয়ে একটি ঠিকাসংস্থা কাজও শুরু করেছে। সম্প্রতি পটমপুরার দিক থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, ওই রাস্তায় চাষমোড় থেকে গাড়াফুসড় গ্রাম পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র ডেকে অন্য একটি ঠিকাসংস্থাকে বরাত দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। সে কাজে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬৩.৯৩ লক্ষ টাকা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো কাজের উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাধুরী সিং সর্দার বলেন, ‘‘ওই রাস্তার কাজ অন্য কেউ করছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা সরজমিনে দেখতেও গিয়েছিলাম। তখন তেমন কিছু চোখে পড়েনি।’’ এ দিকে, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সনুপবাবু বলছেন, ‘‘পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ওই রাস্তা সংস্কার করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য নেই।’’
মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘এলাকার মানুষজন বেশ কিছু দিন ধরেই রাস্তাটির সংস্কার দাবি করছিলেন। সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। অন্য কোনও দফতর কাজ করবে কি না, খোঁজ নেব।’’