ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষ দুই জা। —নিজস্ব চিত্র।
কথায় বলে জায়ে জায়ে না কি বনিবনা হয় না। সেখানে যদি এক জন হন তৃণমূলের প্রার্থী, অন্য জন বিজেপির, তাহলে তো কথাই নেই! যদিও তালড্যাংরার কদমা গ্রামের দুই জায়ের দাবি, তাঁরা রাজ্যের দুই যুযুধান দলের পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী হলেও ব্যক্তিজীবনে এর প্রভাব পড়েনি।
হাড়মাসড়া পঞ্চায়েতের কদমা গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের বড় জা পদ্মাবতী পন্ডা তৃণমূলের প্রার্থী, ছোট জা সুপ্রিয়া পন্ডা বিজেপির। পদ্মা আশাকর্মী, সুপ্রিয়া গৃহশিক্ষিকা। সংসারের যাবতীয় কাজ হাতে হাতে সামলে নিজেদের দলের হয়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন দু’জনে।
প্রথমবার ভোটের ময়দানে আসা দুই প্রার্থীর দাবি, পারিবারিক সম্পর্ক ও রাজনীতি— দু’টি ভিন্ন বিষয়। এক ছাদের তলায় থেকে এক হাঁড়ির ভাত খেয়ে নিজ নিজ দলের মতাদর্শের প্রচার সারছেন তাঁরা। সেখানে প্রার্থীদের ব্যক্তি জীবন নিয়ে কোনও কথা বলছেন না। ফিরে এসে দুই জায়ের সান্ধ্য আড্ডা, পরিবারের ভালমন্দ নিয়ে গল্পতে ছেদ পড়েনি।
তবে জয়ের ব্যাপারে দু’জনেই আশাবাদী। পদ্মাবতী বলেন, ‘‘আশাকর্মী বলে জনসংযোগ কম নেই। আমিই জিতব।’’ জোট জা সুপ্রিয়াপ পাল্টা দাবি, ‘‘বাড়ি বাড়ি পড়াতে যাই। আমার জনসংযোগ কম নাকি? প্রচারেও ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’
পদ্মার স্বামী দীপককুমার পন্ডা হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘ভোটের ফল যাই হোক, রাজনীতি পরিবারকে আলাদা করতে পারবে না।’’
ওই আসনে প্রার্থী রয়েছে সিপিএমেরও। এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে কে জেতেন, সেদিকেই তাকিয়ে বাসিন্দারা। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আশিস পন্ডা বলেন, ‘‘যেই জিতুন, গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সচেষ্ট হবেন, এটাই আশা।’’