চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
ঘটনার পরে চার মাস কেটে গেলেও অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে এসডিপিও (বোলপুর) অফিস এবং শান্তিনিকেতন থানায় এসে বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম আদিবাসী গাঁওতা সংগঠন। এমনকী, অভিযুক্তদের অবিলম্বে না ধরলে এসডিপিও-র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠোকার হুমকিও দিল তারা। পরে ওই সংগঠনের নেতারা দাবির কথা স্মারকলিপি আকারেও জমা দেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরে দীর্ঘ দিন ধরে একটি জনমিতে চাষাবাদ করে আসছিলেন আদিবাসীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই জমির বীজতলা নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। এমনকী, প্রতিবাদে নামা আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাদের উপর হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গত ১৭ অগস্টের ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছিল। এর পরে বোলপুর থানার সিয়ান গোলদালানডাঙায় আদিবাসীদের একাংশের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুঠপাট ও মারধরের অভিযোগ। গত ২৬ অক্টোবরের ওই ঘটনাতেও থানায় অভিযোগ হয়েছিল। সংগঠনের দাবি, দু’টি ঘটনাতেই রাজ্যের শাসকদলের নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা অভিযুক্ত। সে কারণেই এত দিন পরেও পুলিশ চুপ করে রয়েছে। পদক্ষেপ করেনি।
এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল গাঁওতার জেলা আহ্বায়ক সুনীল সোরেনের অভিযোগ, ‘‘শুধু শান্তিনিকেতন বা বোলপুর থানা এলাকাতেই নয়, মহকুমার একাধিক এলাকায় আদিবাসীদের উপর আক্রমণ, নির্যাতন এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করছে না পুলিশ। অভিযুক্তেরা তৃণমূলের লোক হওয়ায় পুলিশ তাদের আড়াল করছে।’’ এমনটা চলতে থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন সংগঠনের ডাকে শতাধিক আদিবাসী পুরুষ-মহিলা নানা প্ল্যাকার্ড হাতে হাজির হয়েছিলেন। সংগঠনের বোলপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি মঙ্গল মাড্ডি-সহ কয়েক জন প্রতিনিধি এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। মঙ্গল বলেন, ‘‘আদিবাসীদের উপর এই নির্যাতন আমরা মেনে নেব না। পুলিশকে নিজেদের কাজ করার কথা স্মরণ করালাম। দরকারে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’’ গাঁওতার দাবি, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। সংগঠনের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি এসডিপিও (বোলপুর)।