ভোটারদের সঙ্গে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়ে কিছু লোকজন তাঁদের প্রভাবিত করলেও কোনও ব্যবস্থা নেননি প্রিসাইডিং অফিসার। এই অভিযোগে বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গাড়াফুসড়ো প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল কমিশন।
গাড়াফুসড়ো গ্রামের এই বুথটি পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েতটির ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। গাড়াফুসড়ো গ্রামেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা বলরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর বাড়ি। সোমবার সকালে এই বুথে থেকে তিনি ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওযার পরেই কয়েক জন প্রার্থীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। এই কেন্দ্রের জোট প্রার্থী কংগ্রেসের জগদীশ মাহাতোর দাবি, সেই সময় পর পর কয়েক জন ভোটারকে ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন বলে দাবি করে তাঁদের সঙ্গে বুথের ভিতর ঢুকে পড়েন বহিরাগতরা। সাহায্য করার ছুতোয় ইভিএমের সামনে গিয়ে ওই ভোটারদের ভোট দেওয়ার সময় প্রভাবিত করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। সেই সময় রাজ্য পুলিশের এক কর্মীও বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এ দিন ওই বুথে গিয়ে দেখা গেল বুথের বাইরে উত্তেজনা রয়েছে। ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাওয়া প্রিসাইডিং অফিসার সন্তোষ কুমার রামের সঙ্গে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়ে বুথ সামলাতে দেখা গেল নতুন প্রিসাইডিং অফিসার জলধর সোরেনকে।
তবে, ওই বুথের তৃণমূলের এজেন্ট কমল মাহাতোর দাবি, ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এক জন ক্ষীণদৃষ্টির ভোটারকে ওই ভোটারেরই পরিচিত এক জন সাহায্য করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে এক ভোটারের সঙ্গে বাইরের এক জন ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে ভোটারকে প্রভাবিত করার। বিষয়টি দেখার দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের। তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের যে কর্মী বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন, তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। এই ঘটনার পরই ওই বুথটিতে নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়।