আদ্রায় ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার রেল স্টেশনে ট্রেনের আসা-যাওয়া সহ বিভিন্ন ঘোষণা সাঁওতালি ভাষাতেও করতে হবে বলে দাবি তুলল ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’। সেই সঙ্গে ওই সব এলাকার স্টেশনের নাম অন্য ভাষার পাশাপাশি লিখতে হবে অলচিকি হরফে। এই দুই দাবি-সহ মোট চার দফা দাবিতে আদ্রার ডিআরএমের কাছে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিল আদিবাসীদের ওই সংগঠন।
দুপুরে আদ্রায় ডিআরএমের অফিসের বাইরে উপস্থিত হন সংগঠনের কয়েক হাজার সদসদ্য। সেখানে সভা করার পরে একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপি দেন। ডিআরএম নবীন কুমার বলেন, ‘‘সংগঠনের সদস্যদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি, কোন কোন স্টেশনে তাঁরা সাঁওতালী ভাষায় ঘোষণা ও অলচিকি হরফে স্টেশনের নাম লেখার কথা চাইছেন। সেই তথ্য এ দিন তাঁরা দেননি। পরে দিলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পরে সেই তালিকা রেল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা দেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
এ দিন তাঁরা আদ্রা থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত নতুন রেললাইন পাতার দাবি ফের উস্কে দিয়েছেন। বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবিতে সরব হয়েছে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। অতীতে রেলবাজেটের আগে এই দাবি নিয়ম করেই উঠত জেলায়। সেই দাবি ফের এ দিন তুলেছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল।
সংগঠনের নেতা রতনলাল হাঁসদা বলেন, ‘‘আদ্রা থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর সংখ্যক আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দার বসবাস। কিন্তু ওই এলাকায় রেললাইন না থাকার জন্য রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।”
অন্যদিকে, পাশের দুই রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাতে বিভিন্ন স্টেশনে সাঁওতালী ভাষায় ঘোষণা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তুলে রতনলালবাবু বলেন, ‘‘সাঁওতালি ভাষায় ট্রেনের আসা-যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা না হওয়ায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন সমস্যায় পড়ছেন।’’ একই সঙ্গে রেলের বেসরকারিকরণ করলে ট্রেনের আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।