টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
বাম কংগ্রেসের ডাকে ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল বীরভূম জেলা জুড়ে। বেশ কিছু জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় সেই অবরোধ বেশিক্ষণ চলেনি। জেলায় সরকারি বাস চললেও বেসরকারি পরিবহণ প্রায় ছিলই না। তবে বিকেলের দিকে খুলতে থাকে দোকান বাজারও।
ধর্মঘটের দিন সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন বাম ও কংগ্রেস সমর্থকেরা। বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট-সহ প্রতিটি শহরে রাস্তায় রাস্তায় পথ অবরোধ শুরু হয়। সিউড়ি ব্যাসস্টান্ড এলাকায় সরকারি বাস চলাচল আটকানোর চেষ্টাও চলে। পুলিশ সেই অবরোধ তুলে দেয়। জেলা জুড়ে বন্ধই ছিল বেসরকারি বাস পরিষেবা।
রামপুরহাটে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। পরে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। ইলামবাজারেও জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করলে, পুলিশ সে সব সরিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। কিছু জায়গায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। জেলা জুড়ে সকাল থেকে দোকান বাজার সবই প্রায় বন্ধ ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে বেশির ভাগ দোকান বাজারই খুলতে থাকে।
বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি মানুষের সমর্থনে বন্ধ সর্বাত্মক। বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রসিদ বলেন, “সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। আর মানুষই তা সফল করছে। আমরা কৃতজ্ঞ বীরভূমের কাছে।”