বাড়ছে বিক্রিবাটা, দাবি ব্যবসায়ীদের একাংশের। ছবি: সুশীল মাহালি
সরকারি নির্দেশে পর্যটন কেন্দ্রগুলি এখনও বন্ধ। তবে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হতেই ফের ভিড় জমতে শুরু করেছে নানা কেন্দ্রে। জানুয়ারির শেষ রবিবার বেশ কিছু পর্যটকের ভিড় দেখা গেল বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে। এ দিন কিছু পর্যটক আসায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে
চিন্তা বেড়েছে।
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, ‘‘পর্যটকদের প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, মাসের শেষ রবিবারে কিছু পর্যটক এসেছিলেন। তাঁদের মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপুল সাহুর দাবি, ‘‘রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় নতুন বছরের গোড়াতেই সরকারি ভাবে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পর্যটনের ভরা মরসুমে কেন্দ্র বন্ধ থাকায় প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।’’ তিনি জানান, এখন শেষ মরসুমে পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে তাঁরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
মুকুটমণিপুর হোটেল মালিক সংগঠনের সদস্য তাপসকুমার মণ্ডল, সঞ্জীব দত্ত, উত্তম কুম্ভকারেরা জানান, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গোটা পনেরো আবাস রয়েছে। সেগুলির ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল। তবে তাঁদের দাবি, ‘‘পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। লজগুলিতে বুকিং বাড়ছে।’’ মুকুটমণিপুরের সব ক’টি লজে এ দিন সম্পূর্ণ বুকিং ছিল জানিয়ে তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।