শীতবস্ত্রের বিকিকিনি, ঝালদার হাটে।
পারদ নিম্নমুখী। তার জেরে সপ্তাহান্তে লক্ষ্মীলাভের আশা দেখছেন বাঁকুড়া জেলার পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুতে দিশি ও বিলিতি মদের দাম বাড়লেও শীতের দাপটে তাঁদেরও বেচাকেনা বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন মদ ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে শীতের কাঁপুনিতে ব্যবসায়ীদের টাকার বাক্সের ঝনঝনানি বেড়ে গিয়েছে।
চলতি মরসুমে বাঁকুড়া জেলার শীতলতম দিন ছিল ২৯ ডিসেম্বর ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর থেকে ধাপে ধাপে জেলার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। তবে গত বুধবার থেকে ফের শীতের দাপট শুরু হয়েছে। শুক্রবার ছিল জেলার শীতলতম দিন (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। আজ, শনিবারও শীত দাপুটে ব্যাটিং করবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস রয়েছে।
এই জেলার অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্রের ‘পৌষমাস’ শীতকাল। তাই শীত জাঁকিয়ে পড়ায় খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। মুকুটমণিপুরের হস্তশিল্প ব্যবসায়ী পতিতপাবন সাহু বলেন, “মাঝে তাপমাত্রা একটু বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক ও চড়ুইভাতিতে আসা লোকজনের আনাগোনা কমে গিয়েছিল। শীত ফিরতেই ছবিটা বদলাচ্ছে। ছুটির দিনগুলিতে এমনই শীতের দাপট বজায় থাকলে লোকজনের ভিড় বাড়বে বলেই আমরা আশাবাদী। ব্যবসাও বাড়বে।” একই কথা বলছেন শুশুনিয়ার পাথর শিল্পীরা। তাঁরা জানান, ১ জানুয়ারির পরে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই হালকা। ঠান্ডা বাড়লে মানুষ ভিড় করবেন বলে আশাবাদী তাঁরাও।
এ দিকে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডায় জেলার মদ ব্যবসাতেও জোয়ার এনেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তালড্যাংরার মদ ব্যবসায়ী তথা বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক্ট অল এক্সাইজ লাইসেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ আচার্য জানান, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই দিশি ও বিলিতি মদের দাম অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে চাহিদাও কিছুটা কমতে শুরু করেছিল। তবে শীত বাড়তেই ফের বাজার জমেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “মদের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা লোকসানের আশঙ্কা করছিলাম। মাঝে ক’টা দিন ব্যবসা ঝিমোচ্ছিল। তবে শীতের কামড় বাড়তেই মদের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে।”
বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙার মদ ব্যবসায়ী রাজু ধোঁওয়া বলেন, “বছরের প্রথম দিন এমনিতেই মদের চাহিদা থাকে। কিন্তু তার পর ধীরে ধীরে ঝিমোতে থাকে ব্যবসা। তবে এই তিন দিনে আবার চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে।”