sainthia

পড়ুয়াদের স্কুলে আনতে বাড়িতে শিক্ষকেরা

অঞ্চলের পারিসর, বেজুরি ও কুলতর গ্রামের ছেলে-মেয়েরাই মূলত এই স্কুলে পড়াশোনা করে। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের এবং গরিব পরিবারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৫
Share:

উদ্যোগ: গ্রােম গিয়ে কথা বলছেন এক শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র

বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে এবং স্কুলছুট বন্ধ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভর্তির ফর্ম পূরণ করাচ্ছেন সাঁইথিয়া ব্লকের মাঠপলসা পঞ্চায়েতের পারিসর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

Advertisement

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় স্কুলছুট কমাতে এবং বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভর্তি করানো হচ্ছে। প্রথমে অভিভাবকদের সচেতন করা হচ্ছে। তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য পড়াশোনার গুরুত্বের কথা বোঝানো হচ্ছে। তার পরে বাড়িতেই ভর্তির ফর্ম সই করিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করানো হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গন থেকে কোনও পড়ুয়া যাতে বাদ না যায়, সে লক্ষ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকেরা এই কাজ করছেন।

এই অঞ্চলের পারিসর, বেজুরি ও কুলতর গ্রামের ছেলে-মেয়েরাই মূলত এই স্কুলে পড়াশোনা করে। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের এবং গরিব পরিবারের। স্কুল সূত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলের পরিবারগুলি পড়াশোনার নিয়ে সে ভাবে সচেতন নয়। তাই শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করছেন। খুদেরা যাতে প্রতি দিন আসে সে দিকেও নজর দেওয়ার অনুরোধ করছেন। বর্তমানে পারিসর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১২ জন পড়ুয়া রয়েছে।

Advertisement

বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেব সূত্রধর বলেন, ‘‘এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ পড়ুয়াই গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা। এই এলাকায় আদিবাসীদের সংখ্যা বেশি। এখনও পরিবারগুলি শিক্ষার দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। আমরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বোঝানোর পাশাপাশি, তাঁদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছি এবং তারা যাতে প্রতি দিন স্কুলে আসে তাও বোঝানো হচ্ছে।’’

সাঁইথিয়ার স্কুল পরিদর্শক সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেববাবু বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেন। উনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে ভাবে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে কোনও সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন এটা পূর্ণ সমর্থন করছি। সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়াতে আমরাও উদ্যোগী হয়েছি এবং স্কুলের শিক্ষকদের বলছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement