জে কে কলেজে।—নিজস্ব চিত্র।
রইল কেবল একটি, তা বাদে পুরুলিয়ার সমস্ত কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করল শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি।
শুক্রবারের ভোটে জেলার অন্যতম বড় দুই কলেজ রঘুনাথপুর ও জগন্নাথ কিশোর (জে কে)— দুটিতেই সব আসনে জিতল টিএমসিপি। লালপুরের মহাত্মা গাঁধী কলেজে নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছিল। ভোটের আগে বহিরাগতরা ঢুকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তারপর মাঠে নামে পুলিশ। ফল প্রকাশ হতে দেখা গিয়েছে, লালপুরে ২২টির মধ্যে ১৮টিতে জিতেছে টিএমসিপি।
পুরুলিয়ায় একমাত্র ‘মরুদ্যান’ হয়ে রয়েছে নিস্তারিণী কলেজ। এই কলেজের মোট আসন ২৪। ভোট হয় ২২টি আসনে। সবক’টিতেই জিতেছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। দু’টি আসনে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। নিস্তারিণীর ছাত্র সংসদ অবশ্য ডিএসও-র দখলেই ছিল। কলেজ নির্বাচনে সামগ্রিক ভাবে ভাল ফলের পরে টিএমসিপি নেতৃত্ব শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে ছাত্রদের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানিয়েছে। টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি নিরঞ্জন মাহাতোর কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। জেলার সমস্ত প্রান্তের পড়ুয়ারা যে পরিবেশ চায় এই সরকার তা দিতে পরেছে বলেই এই জয়।’’ বিরোধী সংগঠনগুলির অবশ্য অভিযোগ, সমস্ত কলেজে শুধু টিএমসিপি নয়, তৃণমূল আসরে নেমে মাত্রাহীন সন্ত্রাস করে জিতেছে।
ছাত্রভোটের মনোনয়ন জমা হতেই স্পষ্ট হয়েছিল যে, পুরুলিয়ায় ভাল ফল করছে টিএমসিপি। কেননা, জেলার অর্ধেকের বেশি কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল টিএমসিপি।
শুক্রবার কেবল নির্বাচন হয় রঘুনাথপুর, জগন্নাথ কিশোর, লালপুরের মহাত্মা গাঁধী, ঝালদার অচ্ছ্রুরাম মেমোরিয়াল কলেজ, বাগমুণ্ডির সুইসার নেতাজী সুভাষচন্দ্র মহাবিদ্যালয়, কাশীপুরের মাইকেল মধুসূদন কলেজে। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, রঘুনাথপুর ও জগন্নাথ কিশোর কলেজের সমস্ত আসনেই জিতেছে টিএমসিপি।
ঝালদায় ২২টি আসনের মধ্যে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন পেয়েছে ১৯টি আসন। ছাত্র পরিষদ জিতেছে দুটিতে। একটি আসন পেয়েছে এসএফআই।
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন শুধু ঝালদাতেই মাত্র একটি আসনে জিতেছে। কাশীপুরের ক্ষেত্রে ১৮টি আসনের মধ্যে আগেই ছ’টিতে বিনা লড়াইয়ে জিতেছিল টিএমসিপি। ১২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল ডিএসও। ১০টিতে প্রার্থী দিয়েছিল এসএফআই। নির্বাচনের পরে দেখা যাচ্ছে এখানে সমস্ত আসনেই জিতেছে টিএমসিপি। একই অবস্থা সুইসার নেতাজী সুভাষচন্দ্র মহাবিদ্যালয়েও।