West Bengal Panchayat Election 2023

‘৪৫০-এ ৪২০ ভোট পেয়ে গিয়েছি’! বীরভূমে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে বিজয় উৎসবে মাতল তৃণমূল

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গেল ভোটের সন্ধ্যায় আবির উড়িয়ে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে নাচছেন কয়েক জন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ২০:৩২
Share:

ভোটকেন্দ্রের বাইরে উচ্ছ্বাস তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।

ভোট প্রক্রিয়া শেষ হতে না-হতেই তাঁরা ‘জেনে গিয়েছেন’ ভোটের ফল কী! ঠিক কত ভোট পড়েছে, সেটাও ‘জানেন’। গণনার আগেই ভোটকেন্দ্রের বাইরে সবুজ আবির উড়িয়ে বিজয় উৎসবে মাতলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ঘটনাস্থল, বীরভূমের নলহাটি-১ ব্লকের বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রাম। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গেল ভোটের সন্ধ্যায় আবির উড়িয়ে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে নাচছেন কয়েক জন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই ভিডিয়ো দেখে বিজেপির কটাক্ষ, ভোট বলে বীরভূমে কিছু হয়নি। তাই এ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব ঠিক এই বিষয়ে কথা বলেননি। তাঁরা বলছেন, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে বীরভূমে।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কর্মীরা জয়ের আনন্দে আবির মাখছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘সাড়ে চারশো ভোটের মধ্যে চারশো কুড়ি ভোট পেয়ে গিয়েছি।’’ অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট বুথে ৪৫০টি ভোটের মধ্যে ঠিক কতগুলি ভোট তারা পেয়েছে, ‘জেনে ফেলেছে’ তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, ছবিটি চণ্ডীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ভোটকেন্দ্রের সামনে আনন্দে মাতোয়ারা যাঁরা, তাঁরা তৃণমূলের। ওই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সব জায়গায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তাই জয়ের বিষয়ে আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাসী। সে কারণেই হয়তো তাঁরা জয়োল্লাস করেছেন। ওঁরা ঠিক কি না, আগামী ১১ জুলাই প্রমাণ হয়ে যাবে।’’

পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। সেই কারণে তৃণমূল জানে, তারাই জিতবে। তাই নলহাটিতে বিজয় উল্লাস করছে ওরা।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শনিবার সারা দিন সাধারণ মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি। ভোটার এবং বিরোধীরা দর্শক ছিলেন। সব কিছুর জন্য পুলিশ প্রশাসনই দায়ী।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement