মেলার মাঠে আকাশে উড়ছে তৃণমূলের দলীয় প্রতীক। — নিজস্ব চিত্র।
সরকারি খরচে হওয়া ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর মেলাকে ঘিরেও শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে মেলার লোগো আকাশে ওড়ার পাশাপাশি তৃনমূলের দলীয় প্রতীকও আকাশে ওড়ানো হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিভিন্ন সামাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল শুরু। বিজেপির দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের লজ্জাহীনতার প্রকাশ। অস্বস্তি এড়াতে তৃণমূল ও মেলা কমিটি উভয়েই, ‘‘বিষয়টা নজরে আসেনি’’ বলে দায় এড়িয়েছে!
পর্যটনের মোড়কে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ৩৫ বছর আগে বিষ্ণুপুর মেলা শুরু করে রাজ্য সরকার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলার পরিধি বেড়েছে। এ বার সেই মেলাকে ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক বিতর্ক। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ৩৬তম বিষ্ণুপুর মেলার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী মঞ্চে হাজির ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা মেলা কমিটির সভাপতি অনুসূয়া রায়, জেলাশাসক এন সিয়াদ ও পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি প্রমুখ। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন হরেক রকম আতশবাজির প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ফোমের ফ্লাইং লোগো ওড়ানোর ব্যবস্থা। অভিযোগ, সেই যন্ত্র থেকে বিষ্ণুপুর মেলার লোগো আকাশে উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতীক ঘাসফুলের একাধিক লোগো আকাশে উড়তে থাকে। সরকারি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন মেলার উদ্যোক্তা-সহ সরকারি আমলারা। শুক্রবার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমাজমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই ঘটনা রাজ্য সরকারের নির্লজ্জতার প্রকাশ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সরকারি টাকায় দলীয় প্রচার করেন। তাঁর অনুগামীরাও সেই একই কাজ করে ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর মেলাকে কালিমালিপ্ত করলেন।’’ বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘মেলাটি সম্পূর্ণ ভাবে সরকারি। সেই মেলায় এমন কিছু হয়েছে বলে আমার অন্তত জানা নেই।’’ পদাধিকারবলে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় বিষ্ণুপুর মেলা কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোগো ওড়ানোর কোনও ঘটনা তো আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তবেই বলতে পারব।’’