চলছে শুদ্ধিকরণ। নিজস্ব চিত্র
সিউড়িতে বুধবার জনসভা করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে বিঁধেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই সভার পাল্টা এ বার মহিলাদের নিয়ে মিছিল করল তৃণমূল। যেখানে বিজেপি-র সভা হয়েছিল, সিউড়ির সেই জেলা স্কুল মাঠ বৃহস্পতিবার ‘শুদ্ধিকরণ’ও করা হল শাসকদলের তরফে। সব মিলিয়ে, বিধানসভা ভোটের আগে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের তরজায় জেলার রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে।
বিজেপির কর্মসূচির পরে জেলা জুড়ে মিছিল করার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ৬টি পুর-শহরেই মহিলাদের নিয়ে মিছিল হয়। সিউড়ির বেণীমাধব মোড় থেকে একটি মিছিল করে সিউড়ি ১ ব্লক তৃণমূল। জেলা কার্যালয় থেকে আরও একটি মিছিল করে সিউড়ি শহর তৃণমূল কংগ্রেস। দু’টি মিছিল চৈতালি মোড়ের কাছে মিলিত হয়। সেখান থেকে মসজিদ মোড়, টিনবাজার হয়ে চৌরাস্ত মোড় হয়ে জেলা স্কুল মাঠে আসেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য কাজি ফরজুদ্দিন, শহর সভাপতি মহম্মদ আব্দুল সফি, সিউড়ি ১ ব্লকের সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ-সহ প্রায় হাজার তিনেক মহিলা কর্মী।
মিছিলের পরে মাঠ ঝাঁট দেন মহিলা কর্মীরা। তার পরে মাঠে গোবর জল ছড়ানো হয়। স্যানিটাইজ়ার ও ফগিং মেশিনের সাহায্যে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের রাজ্য সভাপতি এই জেলায় ভাইরাস ছড়িয়ে গিয়েছেন। তাই মাঠকে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে এবং গোবর জল ছড়িয়ে ঝাঁট দিয়ে বিজেপি নামের ভাইরাস থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন মা-বোনেরা।’’
জেলা সভাপতির নিজের জায়গা, বোলপুরের ডাক বাংলো থেকে এ দিন একটি বিশাল মিছিল বের হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর কোনার এবং হাজার দশেক মহিলা। শহর পরিক্রমা করে চৌরাস্তা মোড়ের কাছে মিছিল শেষ হয়। পরে অনুব্রতও বলেন, ‘‘বিজেপি এই জেলায় ভাইরাস রেখে গিয়েছে। মহিলারা সেই ভাইরাস পরিষ্কার করেছেন।’’
রামপুরহাটে গাঁধী ময়দান সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে এ দিন মহিলাদের মিছিল শুরু হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অসিত মাল। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ দিন অভেদানন্দ কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে মিছিল এসে শেষ হয় ইউনিয়ন বোর্ড গাঁধী মূর্তির কাছে। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান, পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত, বিধায়ক নিলাবতী সাহা। দুবরাজপুরে পার্টি অফিস থেকে আশ্রম মোড় পর্যন্ত মহিলা-মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক নরেশ বাউরি, জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পীযূষ পাণ্ডে। ওই মিছিলের কারণে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যায় বলে অভিযোগ। নলহাটিতেও মিছিল হয়।