পতাকা নিয়ে। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নারায়ণপুর বাজারে তৃণমূলের কার্যালয়। দু’মাস পরে শনিবার খুলল সেই কার্যালয়।
নারায়ণপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি প্রশান্ত শাল দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়টি ফের চালু করেন। দলীয় পতাকাও তোলেন। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই বিজেপির লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছিল পার্টি অফিসে। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। স্থানীয় মানুষের সাহায্যে আমরা পার্টি অফিসটি খুলেছি।’’
বিজেপির পাত্রসায়র ২ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক অনুপ ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘‘ওরা নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল।’’
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই পাত্রসায়রের বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ হয়ে যায় তৃণমূল কার্যালয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যার কারণ হিসাবে বিজেপির ‘সন্ত্রাস’-কে দায়ী করে তৃণমূল। কোতুলপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির নাম করে সিপিএম অপকর্ম করছিল। ছাই দিয়ে কখনও আগুন চেপে রাখা যায় না।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ আবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধছেন।’’ যদিও সিপিএম নেতা লালমোহন গোস্বামীর পাল্টা দাবি, ‘‘সিপিএমের কেউ বিজেপিতে যায়নি। এটা সিপিএমের সংস্কৃতি নয়। তৃণমূলের লোকজন বিজেপিতে যাচ্ছে। তারাই এ সবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটা সবাই দেখছেন।’’