কর্মসূচির প্রস্ততি। রঘুনাথপুরে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের জঙ্গলমহলে এসে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কমিটির মুখে পড়তে হয়েছে। তৃণমূলের দলীয় তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার জেলার জঙ্গলমহলের সিমলাপাল ও খাতড়া শহরে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকেও ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচির মুখে পড়তে হবে কি, শুরু হয়েছে চর্চা।
ঘটনা হল, তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুড়মি সমাজের লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে রেল অবরোধ করেন। তার পরে, শুরু হয়েছে ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি। এলাকায় আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের তার মুখে পড়তে হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী গত ১৭ মে সিমলাপালের হরিণটুলি গ্রামে ঘাঘর ঘেরায় পড়েন। গত শুক্রবার হরিণটুলিতে বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসুকেও ঘাঘর ঘেরা কমিটির সদস্যদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়। পরে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ পরিস্থিতিতে অভিষেককেও কি ঘাঘর ঘেরাওয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলে। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, অভিষেক দক্ষিণ বাঁকুড়ায় আসার আগে আন্দোলনকারী কুড়মি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয়েছে দলের তরফে। খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “আমরা আন্দোলনকারী কুড়মি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের দেখার কথা। তারাই তা দেখবে।” বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ঘিরে খাতড়া ও সিমলাপালে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।”
ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উত্তমকুমার মাহাতো, লক্ষ্মীকান্ত মাহাতোরা জানান, অভিষেক কবে জঙ্গলমহলে আসছেন, তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। কোন রাস্তায় আসবেন বা যাবেন, তা-ও ঠিক জানা নেই। তবে তাঁদের দাবি, “জঙ্গলমহলে এলে সব দলের নেতাদেরই আমরা ঘাঘর ঘেরা করছি। অভিষেক জঙ্গলমহলে এলে তাঁকেও ঘাঘর ঘেরা করে কুড়মিদের দাবির বিষয়টি জানানো হবে।”