পুরুলিয়ায় ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে মিষ্টিমহল এলাকায়। ছবি: সুজিত মাহাতো
বুলডোজ়ার দিয়ে দখলদারি সরানোর বিরুদ্ধে বরাবরই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে পুরুলিয়া শহরের রাস্তা থেকে ‘দখলদারি’ সরাতে ‘পে-লোডার’ ব্যবহার করল তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা।
সম্প্রতি বিটি সরকার রোডের একাংশে অভিযান চালিয়েছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার ওই রাস্তারই নডিহা এলাকায় ফের অভিযান চালানো হল।
এ দিন সকাল থেকেই অভিযানে ছিলেন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান ঘোষ, ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) আশিস রায়, পুরুলিয়া সদর থানার আইসি মানস সরকার। সঙ্গে ছিল বড় পুলিশ বাহিনীও। বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতে গড়ে ওঠা খাবারের দোকান, হোটেলের উনুন, দোকানের চালা, মাংস কাটার দোকানের ঠেক-সহ যাবতীয় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুরুলিয়া পুরসভা সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটির এক দিকে ৬ নম্বর ও অন্য দিকে রয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ড। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুর-প্রতিনিধি দুর্বা দত্তও অভিযানে হাজির ছিলেন।যদিও এলাকায় দেখা যায়নি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল পুর-প্রতিনিধি মৌসুমী ঘোষকে।
তিনি বলেন, “এ ভাবে উচ্ছেদ অভিযান মেনে নিতে পারিনি। গরিব মানুষজন রাস্তার ধারে ছোট খাবারের দোকান চালান। এক বার নোটিস দেওয়ায় কাজ না হলে আরও সময় দেওয়া দরকার ছিল। সমস্ত জায়গায় তো এ ভাবেই কাজ হয়।”
তাঁর সংযোজন, পুরসভার উচিত শহরের অন্য রাস্তাগুলি থেকেও একই ভাবে অবৈধ দখল হটানো হোক। না হলে নানা প্রশ্ন উঠবে।
পুরপ্রধান বলেন, “এই রাস্তায় কিছু দিন আগে দুর্ঘটনায় এক জনের প্রাণ গিয়েছে। ফুটপাত এমন ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে যে রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করলে পাশ কাটানোর জায়গাটুকুও নেই। তাই আমরা শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলি থেকে অবৈধ দখলদারি হটানোর কাজ শুরু করেছি। বিটি সরকার রোডে কিছু দিন আগে একই ভাবে অভিযান হয়েছে।”
ওই নির্দল কাউন্সিলরের আরও সময় দেওয়ার দাবি নিয়ে পুরপ্রধান বলেন, “একাধিক বার নোটিস দেওয়া হয়েছে। নিজে এসে বলে গিয়েছি। তা ছাড়া, নিকাশি নালার ও পারে কেউ ব্যবসা করলে পুরসভার আপত্তি নেই। নালার এ পারে, অর্থাৎ রাস্তার দিকে ফুটপাত দখল করা যাবে না।”
শহরের অন্য রাস্তাগুলিতেও অবৈধ দখল হটানোর অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
a