Satabdi Roy

শতাব্দীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা, ‘কাজ করার’ প্রতিশ্রুতি সাংসদের

তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি শতাব্দী নিজে। তিনি বলেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষই পরিষেবা পেয়েছেন। সভাতে বেশির ভাগ মানুষ ভালই কথা বলেছেন। যাঁরা পরিষেবা পাননি তাঁরা সব পাবেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৫
Share:

স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে সাংসদ শতাব্দী। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামে জনসংযোগে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সরকারি আবাস থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি পরিষেবা অমিল বলে সাংসদের সামনেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

Advertisement

বীরভূমের সাঁইথিয়ার হাতোড়া গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল স্থানীয় সাংসদ শতাব্দীর। সঙ্গে ছিলেন সাঁইথিয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন শতাব্দী। আর কথা বলতে গিয়েই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। শতাব্দীর সামনেই কেউ বাড়ি পাননি, গ্রামের রাস্তা হয়নির মতো একাধিক অভিযোগ করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। সকলেরই সমস্যার কথা শোনেন সাংসদ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন।

যদিও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি শতাব্দী নিজে। তিনি বলেন, ‘‘বেশির ভাগ মানুষই পরিষেবা পেয়েছেন। সভাতে বেশির ভাগ মানুষ ভালই কথা বলেছেন। আর যাঁরা এখনও সরকারি পরিষেবা পাননি, তাঁরা আগামী দিনে তা পাবেন, সেই নিশ্চয়তা দিয়ে এলাম। সরকারি পরিষেবা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় সে জন্যই তো দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু হয়েছে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। সাংসদ, বিধায়কদের যেতে হচ্ছে মানুষের দরজায়। দলের মতে, অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হলেও তাতে আখেরে দলই লাভবান হবে। ঠিক যেমন শনিবার সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে অভাব, অভিযোগের কথা তাঁর কাছে পৌঁছে দিলেন গ্রামবাসীরা। তারকা সাংসদের কাছ থেকে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পেয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement