বাঁকুড়ায় নদীতে তর্পণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের। —নিজস্ব চিত্র।
মহালয়ার সকালে গন্ধেশ্বরী নদীতে নেমে তর্পণ সারলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। স্নান সেরে তাঁর দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার বলি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মীর উদ্দেশে তর্পণ করেছেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবী পক্ষের সূচনা। শনিবার দুই পক্ষের এই সন্ধিক্ষণে পিতৃপুরুষদের শ্রদ্ধা জানাতে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে হাজির হন বাঁকুড়া শহরের হাজার হাজার মানুষ। সেই সতীঘাটেই হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তর্পণ সেরে বাঁকুড়ার সাংসদ বলেন, ‘‘২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় খুন হয়েছেন মোট ২৩৭ জন। মৃতদের বড় অংশই বিজেপির কর্মী। তা ছাড়া তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেও একাধিক খুন হয়েছে। প্রয়াত সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উদ্দেশে তর্পণ করেছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ রাজ্যে মানুষ শান্তিতে নেই। ২০২৪ সালের নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই এ রাজ্যে অশান্তি বাড়বে। রাজ্যে যাতে শান্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয় দেবতাদের কাছে তারই প্রার্থনা করলাম।’’
সুভাষের তর্পণকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘মানুষের দু:খ কষ্টের সময় গত সাড়ে চার বছর ধরে বাঁকুড়ার মানুষ তাঁকে (সুভাষ) কাছে পায়নি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সুভাষ যত রকম নাটক করছেন। আর এ রাজ্যে শান্তির পরিবেশই রয়েছে।’’