—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘‘বাড়িতে আছেন? বাইরে এসে আমাকে একটু বাঁচান।’’ মধ্যরাত্রে এক যুবকের আর্তচিৎকার শুনে হন্তদন্ত হয়ে হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান উপপ্রধান। কিন্তু বাইরে বেরোতেই জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী হামলা চালাল তাঁর উপর। দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়ি মারে কপাল ফেটে রক্ত ঝরে উপপ্রধানের। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে তাঁর স্ত্রীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পর পর তিন রাউন্ড গুলি চলে। তার পর দু’টি মোটরবাইকে করে পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া কালীপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন আক্রান্ত উপপ্রধান।
স্থানীয় সূত্রে জানা খবর, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ নদিয়ার কালীপুর এলাকায় বেলগড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক মণ্ডলের বাড়িতে আসেন এক যুবক। মধ্যরাতে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে বেরোনো মাত্র হামলা চলে উপপ্রধানের উপরে। রড, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। স্বামীর চিৎকার শুনে দীপকের স্ত্রী পদ্ম দেবী বাইরে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরা উপপ্রধানকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে ভয় দেখানোর জন্য গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কী কারণে এই হামলা, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঠিকাদারদের সঙ্গে গন্ডগোলে ওই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আক্রান্ত দীপক বলেন, ‘‘দরজায় এসে এক জন চিৎকার করছিল যে, আপনাদের পাড়ার ছেলেরা আমাদের উপর আক্রমণ করছে, একটু দেখুন। কোনও কিছু না ভেবে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসতেই পাঁচ জন আমাকে আক্রমণ করে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। কোনও রকম বেঁচে গিয়েছি।’’ তাঁর অনুমান, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে এই হামলা হতে পারে। তবে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।