সিউড়িতে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমকে গর্তে বন্ধ করে, গর্ত সিল করে দেওয়ার ‘হুমকি’ দিলেন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। শনিবার সিউড়িতে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বার্তা দেন, ‘‘আমরা সকলে এক, আমরা সকলেই তৃণমূল।’’ তবে কেবল শতাব্দী নন, শাসক দলের সমস্ত নেতার গলাতেই দলের ঐক্য অটুট রাখার সুর শোনা যায়।
এ দিন সিউড়ি শহর তৃণমূলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, সিউড়ি বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের সাংসদ অভিজিৎ সিংহ, দলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় সহ পুরসভার পুরপ্রধান, সমস্ত কাউন্সিলর-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।
এ দিন শহরের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গেই একগুচ্ছ পুরনো তৃণমূল নেতাদের উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানুর, সাঁইবাড়ি-সহ একাধিক প্রসঙ্গ টেনে সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মলয় বলেন, ‘‘সিপিএম স্বপ্ন দেখছে বাংলার বুকে আবার ফিরে আসবে। সেই সিপিএম পার্টিটাকে গর্তে ঢুকিয়ে সিল করে দিতে হবে।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘সিপিএমকে গর্তে ঢোকাতে হবে মানে মানুষের উপর ওঁরা ভরসা হারিয়েছেন। আমরা একটা জিনিসই চেয়েছি, তোমরা তোমাদের কথা বলো, আমরা আমাদের কথা বলি। মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে এই ধরনের বক্তব্যের কী অর্থ?’’
ওই মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যের বার্তা দেন সাংসদ শতাব্দী। তিনি বলেন, ‘‘এখানে আমরা যাঁরা উপস্থিত আছি তাঁদের নাম আলাদা, পরিচয় আলাদা, ঠিকানা আলাদা। কিন্তু মিল হচ্ছে আমরা সবাই তৃণমূল। আমরা সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি।’’